শুক্রবারই খোদ সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় সপুত্র তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। সপ্তাহান্তের বারবেলায় তৃণমূল ভবনে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মুকুল। ২০১৭-তে দলত্যাগের পর ফের ‘ঘরে ফিরছেন’ মুকুল যা রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। কিন্তু সেই সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে দিলীপ ঘোষ এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এখন জল্পনা কল্পনা, গান গাওয়ার সময় নেই। আমাদের অনেক কর্মী সন্ত্রাসের শিকার। অনেকে ঘরে ফিরতে পারেননি। তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে আপাতত চিন্তিত।”শুক্রবার, বনগাঁয় দলের সাংগঠনিক বৈঠকে এসে মুকুল রায়ের ‘ঘরওয়াপসি’ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
পাশাপাশি সিএএ এনআরসি ইস্যু নিয়েও কথা বললেন দিলীপ। এদিন, বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, “রাজ্য়ের যে হিংসা সন্ত্রাস ছড়িয়েছে তার খতিয়ান নেওয়া হবে। টিকাকরণের পর থেকেই সিএএ চালু হওয়ার কথা। বিল পাশ হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার সমর্থন করছে না। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা না হলে সিএএ চালু করা সম্ভব নয়।” পাশাপাশি, রাজ্যে টিকাকরণ সমস্যা নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “রাজ্য়ে টিকা এসেছে। কিন্তু সেই টিকার সমবন্টন হচ্ছে না। বিভিন্ন পৌরসভায় যে টিকাপ্রদান কর্মসূচি চলছে, তাতে, সেখানে নিজেদের লোককে টিকা দেওয়া হচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।”
তবে, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
Be the first to comment