রাজ্য বিজেপিতে এখনও আগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য দিলীপ ঘোষ। একমাত্র তিনিই পারেন
সংগঠনকে চাঙ্গা করতে। বুথস্তরে সংগঠনকে মজবুত করতে দিলীপ ঘোষের জুড়িমেলা ভার। সুকান্ত মজুমদার যদি দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির অভিজ্ঞতা, পরামর্শকে কাজে না লাগান, তাহলে দলের ক্ষতি। তাঁর নিজেরও ক্ষতি। সুকান্তর খেয়াল রাখা দরকার, চিরকাল পদে কেউ থাকবে না। তাই সবাইকে বিজেপির গঠনতন্ত্র ও নীতি অনুযায়ী কাজ করতে হবে। রাজ্য পদাধিকারী বৈঠকে দিলীপ ঘোষকে এমনই দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে সুকান্তকে উপদেশ দিলেন
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ।
একুশের বিধানসভা ভোটের পর রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া থেকে একাধিক উপনির্বাচন ও পুরসভা ভোটে সুকান্ত চূড়ান্ত ব্যর্থ। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়েও অনেক জায়গায় তৃতীয়স্থানে চলে গিয়েছে বিজেপি। অনেক প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে পঞ্চায়েত ভোটে গেরুয়া শিবিরের কপালে যে দুর্ভোগ আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সুকান্তর আমলেএই ১৫ মাসে বাংলায় বিজেপি ক্রমশ দুর্বল হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে খারাপ ফল হলে রাজ্য সভাপতি বদল হতে পারে। বি এল সন্তোষ এমন আভাসও দিয়ে গিয়েছেন।
সম্প্রতি, সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন আদি বিজেপি নেতারা। দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বকে এই বিষয়ে অভিযোগ করে একাধিক চিঠিও দিয়েছেন। বাংলায় শুধু সাংগঠনিক দুর্বলতা নয়, প্রকট হচ্ছে দলীয় অন্তর্কলহ। সেক্ষেত্রে এই কাজের মূল দায়িত্বে যিনি রয়েছেন, সেই সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী চাকরি খোয়াতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শীর্ষ অধিকারিদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে এই সাংগঠনিক বদল নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
Be the first to comment