দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগের পিছনে কি কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য? রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি শুখেন্দু শেখরের

Spread the love

দীনেশ ত্রিবেদী ইস্যুতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার চিফ হুইপ সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় চিঠি দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে। সেক্রেটারি জেনারেলের মাধ্যমে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে স্পিকার না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে দীনেশ ত্রিবেদী বলার সুযোগ পেলেন। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে মনে করছে জোড়াফুল শিবির।

তাই ১২ ফ্রেব্রুয়ারি ওই ঘটনার যথাযথ তদন্ত চেয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি, অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদীয় দলের প্যাডে চিঠি লিখেছেন রাজ্যসভার চিফ হুইপ সুখেন্দু শেখর রায়। মোট ছটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এই চিঠিতে। যেখানে লেখা হয়েছে, গত ১২ তারিখ স্পিকার হিসাবে দলের তরফ থেকে নাম দেওয়া হয়েছিল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও আবির রঞ্জন বিশ্বাসের। তাহলে দীনেশ ত্রিবেদী বলার সুযোগ পেলেন কি করে? দুপুর ১.২৫ মিনিটে রাজ্যসভায় বলার জন্য নির্ধারিত ছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের নাম। তাহলে ১.২৫ মিনিট থেকে ১.২৯ অবধি কীভাবে রাজ্যসভার ফ্লোরে বলার সুযোগ পেলেন দীনেশ ত্রিবেদী। দল যার নাম পাঠায়নি সে বলল কী করে? এর পাশাপাশি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে দীনেশ ত্রিবেদীর আসন দেওয়া হয়েছিল রাজ্যসভার গ্যালারিতে।

কিন্তু তিনি নেমে চলে আসেন কাউন্সিল চেম্বারের মধ্যে। কথা বলতে শুরু করেন। নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কথা বলতে শুরু করেন। নিজের পছন্দের আসন থেকে বলা শুরু করে দেন। বাজেট সংক্রান্ত আলোচনার মধ্যে এই সব কথা বললেও তাঁকে চেয়ার থেকে থামানোর চেষ্টা করা হয়নি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে গেলেন। নিজের পদত্যাগের কথা বললেন রাজ্যসভার ফ্লোরে দাঁড়িয়ে। 

সুখেন্দু বাবু তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, এর ফলে রাজ্যসভার মতো একটা সম্মানীয় জায়গার মর্যাদা নষ্ট হয়েছে। নিয়ম ভাঙা হয়েছে সংসদীয় কাজের।রাজ্যসভার কোনও সদস্যের পদত্যাগ করার জন্যে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে সেটিও মানা হয়নি৷ এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস চিঠি দিয়ে দাবি করেছে, আসলে এর পিছনে কোনও উদ্দেশ্য ছিল। যা আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্মানহানি করা। একই সঙ্গে এর পিছনে কারও ইন্ধন ছিল। তাই গোটা বিষয়ের যথাযথ তদন্ত হোক বলে চিঠি দিল জোড়াফুল শিবির। তবে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই দীনেশ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, যা তিনি করেছেন তা যথাযথ আইন মেনেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*