পুজোর প্রসাদ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রায় ৮০ জন। যার মধ্যে শিশু, মহিলা সহ হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ৬০ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানা এলাকায় চতুর্থীর রাতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার সকালেই অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান স্থানীয় বিধায়ক শওকত মোল্লা।
পুলিশ সূত্রে খবর, জীবনতলা থানার কালিকাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্ডারি পাড়ার বাসিন্দা আনন্দ ভুঁইয়ার বাড়ির পুজোর প্রসাদ খেয়েই এলাকার বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ। শিশু, পুরুষ, মহিলা সহ মটেরদীঘি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫৫ জন। কীভাবে ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জীবনতলা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কালিকাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্ডারি পাড়ার বাসিন্দা আনন্দ ভুঁইয়ার ব্যক্তির বাড়িতে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ হয়। সেই উপলক্ষ্যে বাড়িতে পুজো ছিল। ওই পুজোয় খাওয়ানোর আয়োজনও করেছলেন আনন্দ ভুঁইয়া। এলাকার বাসিন্দাদের নিমন্ত্রণ ছিল। সেই নিমন্ত্রণ খাওয়ার পর সন্ধ্যা থেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেন শিশু সহ এলাকাবাসী। সকলের একই উপসর্গ, পেট ব্যাথা, জ্বর, বমি-বমি ভাব। যার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। ঝুঁকি এড়াতে রাতেই অসুস্থদের মটেরদীঘি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন সকাল পর্যন্ত শিশু সহ এলাকার প্রায় ৫৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে কয়েকটি শিশুর অবস্থা গুরুতর।
ঘটনার খবর পেয়ে এদিন সকালেই অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান এলাকার বিধায়ক শওকত মোল্লা। পুজোর প্রসাদ খেয়েই কান্ডারি পাড়ার বাসিন্দাদের অসুস্থ হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, প্রসাদ খেয়েই শিশু, মহিলা, পুরুষ সকলেই আক্রান্ত হয়েছে। তবে কয়েকটি শিশুর অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছেন। গোটা বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে।
খাবারে বিষক্রিয়ার ফলেই সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানান মটেরদীঘি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক দেবাশীষ মন্ডল। তিনি বলেন, ‘পেটে ব্যথা, বারেবারে পায়খানা, বমি, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর উপসর্গ নিয়ে শনিবার রাত থেকে ৫৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খাবারে বিষক্রিয়ার জেরেই সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে সকলের অবস্থা স্থিতিশীল।’ কয়েকটি শিশুর অবস্থা গুরুতর হলেও চিন্তার কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে গোটা ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে জীবনতলা থানার পুলিশ।
Be the first to comment