রাজকুমার ঘোষ : অজয়ের বাড়ির কাছেই স্বপ্নার বাড়ি, অথচ পরিচয় নেই, খুব কথা বলতে ইচ্ছা করলেও সাহস করে এগোতে পারে না। রাস্তার ধারে স্বপ্নার বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় অজয় প্রতিদিন স্বপ্নাকে দেখার চেষ্টা করে, দেখতেও পায় কিন্তু স্বপ্না ওর দিকে ঘুরেও তাকায় না। একদিন কোচিং সেন্টারে অজয় স্বপ্নাকে দেখে হকচকিয়ে যায়। সেদিনই প্রথম আলাপ এবং ওর নাম যে স্বপ্না সেটাও জানতে পারে। এরপর অজয়ের দিনগুলো দারুণ কাটতে লাগলো, যাকে দেখার জন্য ও এত উদগ্রীব, সে ওর বন্ধু। অজয়ের কাছে যেন সব স্বপ্ন! ১৪ জুন স্বপ্নার জন্মদিনে অজয় একটা উপহার নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে গেলো এবং ঠিক করেছিল ওইদিন ওর মনের কথা বলেই ফেলবে। উপহার হিসাবে সে নিয়ে গিয়েছিল সোনু নিগমের ‘দিওয়ানা’ সিডি। স্বপ্নার কাছে গিয়ে কি একটা দ্বিধায় ও বলতে পারেনি, তবে স্বপ্নার সিডি প্লেয়ারে দিওয়ানার একটা গান স্বপ্নাকে শুনিয়েছিল… ‘দিল সে দিল তক, বাত পৌছি, মিলতে মিলতে সনম।’ গানটা চলার সময় অজয় স্বপ্নার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বোধ হয় স্বপ্নাকে কিছু বোঝাতে পেরেছিল।
একদিন স্বপ্না অজয়কে বাড়িতে ডাকে। …অজয় গিয়েছিল… স্বপ্না অজয়কে ওর ছাদের ঘরে ডেকে নিয়ে যায় তারপর অজয়ের হাতটি ওর ঠোঁটের স্পর্শে বুঝিয়ে দেয় ভালোবাসার উষ্ণস্রোত বুঝি এবার ওর হৃদয় নদীর মাঝ বরাবর বয়ে যাবে । ওকে জড়িয়ে ধরে স্বপ্না বলে, ‘তুমি কি এইভাবে আমাকে ধরতে পারো না’…
আজ অনেক বছর হয়ে গেলো, স্বপ্না কোনওভাবেই ওর হয়ে ওঠেনি, কিন্তু ১৪ জুন… হ্যাঁ অজয় সেই ১৪ জুন-এর কথা মনে করছে। অজয় ছাদের ঘরে রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে সেই বিশেষ দিনের সুখস্মৃতির কথা ভেবে নিজেকে সুখী মনে করছে, কিভাবে যেন সেই সুখস্মৃতি আজও তার কাছে সুখস্বপ্ন হিসাবেই আছে, আর মোবাইলের মিউজিক প্লেয়ারে ভেসে আসা সেই গানটি তার এই সুখস্মৃতিকে আরো মধুর করে তুলেছে…. ‘দিল সে দিল তক, বাত পৌছি, মিলতে মিলতে সনম।’
Be the first to comment