রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা :- অভয়াকাণ্ডে ফের আন্দোলনের আঁচ রাজপথে। আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে রাতভর অবস্থানে বসলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। আরজি কর কাণ্ডের ৫ মাস হওয়ায় বৃহস্পতিবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার ডক্টর্স ফ্রন্ট। তাঁদের এই কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে পা মিলিয়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ। ছিলেন প্রতিবাদী চিকিৎসক দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো, আসফাকুল্লা নাইয়া প্রমুখ। ঘটনাচক্র এই দিনই শেষ হয়েছে আরজি কর মামলার বিচারের প্রক্রিয়া। আগামী ১৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করবেন শিয়ালদা কোর্টের বিচারক। সিবিআইয়ের চার্জশিটে এই ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ফলে সাজার মুখোমুখি হতে চলেছে সেই সঞ্জয়ই। যদিও শুধু সঞ্জয় রায়কেই দোষী মানতে আপত্তি রয়েছে জুনিয়ার ডাক্তারদের। তাঁদের মতে, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার একা নন, আরও অনেকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তাঁরা পার পেয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার মিছিল থেকেও এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাই প্রকৃত তদন্ত ও সকল দোষীর বিচারের দাবিতে, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে সারা রাত অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘১৮ তারিখ রায় ঘোষণা করবে আদালত। বোঝাই যাচ্ছে, সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সিভিককে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। সে যদি জড়িত থাকে, সাজা পাক। কিন্তু এটাই তো পুরো বিষয় নয়। যারা এই ঘটনাকে সুইসাইড বলে চালাতে চাইল, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করল, আরও যারা এই ঘটনায় জড়িত, সিএলএসএফ রিপোর্ট, ডিএনএ পরীক্ষা-সহ বিভিন্ন রিপোর্টের যে অসঙ্গতি, তার তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। যত দিন তা না হচ্ছে, তত দিন আন্দোলন চলবে। আন্দোলনের অন্যতম মুখ আরজি করের চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া বলেন, ‘সিভিককে ভলান্টিয়ারকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। এই ঘটনার মোটিভ কী? তা জানা দরকার। সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও ক্ষোভ রয়েছে।’ অনিকেত মাহাতো জানান, এক জনের পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়। আরও কারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল তা স্পষ্ট নয়।
Be the first to comment