‘চেয়ারের উপর ভরসা রেখেই এসেছিলাম,’ মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যেতেই নবান্ন সভাঘরের সামনে সাংবাদিকদের জানালেন চিকিৎসকরা

Spread the love

 

রোজদিন ডেস্ক:-

নবান্নের সামনেই সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করার পর মুখ্যমন্ত্রী আগেই নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। ডাক্তারেরা বললেন, “আমরা খুব বিনীত ভাবে জানাতে চাই, আমরা চেয়ারের জন্য কোনও আলোচনা করতে আসিনি। আপনি ভুল ভেবেছেন। আমরা এসেছিলাম ন্যায়বিচারের দাবিতে। যাতে আলোচনা হয়, সেই দাবিতে এসেছিলাম।” জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, “চেয়ারের জন্য নয়, চেয়ারে ভরসা রেখেই আমরা আলোচনার জন্য এসেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে আমরা হতাশ। আমরা এখনও আশা রাখছি। এই চেয়ারের প্রতি আমাদের ভরসা এখনও আছে। তাই আমরা অপেক্ষা করছি এখনও।” জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদল বলেন, “আমরা এখনও আশা রাখছি। এই চেয়ারে ও এই বিল্ডিংয়ে ভরসা আছে। তাই আমরা অপেক্ষা করছি। নবান্নের দরজা বন্ধ হচ্ছে। আমরা আশা রাখব, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা নবান্নে এসেছিলাম। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী যেমন বলেছিলেন, তেমন খোলা মনেই কথা বলতে এসেছিলাম। আমরা শুরু থেকেই বলেছিলাম, ৩০ জনের প্রতিনিধিদলের কথা। সবাই নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের জন্য তাকিয়ে ছিলেন আমাদের দিকে। তাই আমরা চেয়েছিলাম সরাসরি সম্প্রচার হোক। এখানে আসার পর, আমরা নবান্নের আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করছিলাম, ফোন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম। তখনই জানতে পারি, সরাসরি সম্প্রচারের দাবি তাঁরা মানতে পারছেন না। কিন্তু তখন তাঁরা আমাদের স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই আমরা অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষারত অবস্থাতেই শুনতে পারলাম, মুখ্যমন্ত্রী প্রেস বিবৃতি দিচ্ছেন।” জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, “৩৪ দিনের মাথায় এসে আলোচনা ফলপ্রসু হওয়া দরকার ছিল, এ কথা আমরাও মনে করি। কারণ রাজ্যের প্রতিটি মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য বিপর্যস্ত। এই জায়গায়আমরা মনে করেছিলাম, এই আলোচনা হওয়া দরকার। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার জন্য সেটি হতে পারল না। এর জন্য আমরা যারপরনাই হতাশ হয়েছিল।” জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, “যাঁদের অপসারণের জন্য আমরা দাবি তুলেছি, সেই দাবির কি ন্যায়বিচারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই? অবশ্যই যোগ আছে। এই মানুষগুলি যদি পদে বহাল থাকেন, তাহলে তদন্ত প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। সেই জায়গায় আমাদের মনে হয়েছিল, পাঁচটি দাবিই সমান গুরুত্ব পাবে। এই চেয়ার, এই ভবনের উপর আমাদের এখনও ভরসা আছে। তাই আমরা এখনও অপেক্ষা করছি।” আন্দোলনকারীদের কথায়, “আমাদের সদিচ্ছা এখনও আছে। আশা করি, মুখ্যমন্ত্রীরও সদিচ্ছা এখনও আছে। আমরা ৩৪ দিন রাজপথে পড়ে রয়েছি। দরকার হলে, ৩৫ দিন, ৩৬ দিন, ৩৭ দিন থাকব। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান বার হবে, এটা আমাদের বিশ্বাস।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*