
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা :- মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধান। প্রতিবাদ করতে ভোলেনি কলকাতা। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদের চেনা ছবি ফের ফিরল শিক্ষকদের মহামিছিলে। বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা প্রতিবাদ মিছিল করলেন এসএসসি মামলায় চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। প্রতিবাদে পাশে দাঁড়ালেন আমজনতা, বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে আরজি করের আন্দোলনের মুখ সেইসমস্ত চিকিৎসকরাও।
যোগ্য অযোগ্য তালিকা প্রকাশের দাবিতে শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে শিক্ষকদের সঙ্গে পা মেলালেন চিকিৎসকরাও। বেলা ১২টায় শিয়ালদহ থেকে শুরু হয়ে পরে যানজটের জেরে বদলে যায় মিছিলের রুট। মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলা পর্যন্ত আগে মিছিলের রুট ঠিক করা হয়েছিল। মৌলালিতে ওয়াকফ কর্মসূচির জেরে প্রবল যানজট থাকায় পরে কোলে মার্কেট, কলেজ স্ট্রিট হয়ে ধর্মতলার দিকে যায় মিছিল। চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ান অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকরাও।
মিছিলে সামিল হন আরজি কর আন্দোলনের চেনা মুখ চিকিৎসক দেবাশিস হালদার, আশফাকুল্লা নাইয়া। দেবাশিস বলেন, “রাজ্য সরকারের দুর্নীতির জন্য যোগ্য হয়েও বঞ্চিত শিক্ষকরা। তারা জাতির মেরুদণ্ড। অথচ রাস্তায় ফেলে তাদের মারা হল। কোথায় রাখব এই লজ্জা?” মিছিলে সামিল হন বিশিষ্ট অভিনেতা বাদশা মৈত্রও। চাকরি বাতিলের জন্য সরকারের অপদার্থতাকে দায়ী করেন বাদশা। শিক্ষাব্যবস্থার চরম ক্ষতি হবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাদশা।
বেলা ৩টে নাগাদ ধর্মতলায় পৌঁছয় শিক্ষকদের মিছিল। ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিহারারা। ধর্মতলায় জমায়েত করে স্লোগান দেওয়া হয়। চাকরিহারাদের মিছিল থেকে ওঠে ‘হোক কলরব’ ও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানও। চাকরিহারাদের হয়ে রাজপথে প্রতিবাদে পথে নামে কংগ্রেস, বিজেপি ও এসএফআই-ও।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে মিছিলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মধ্য কলকাতা। রাস্তায় রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা মিছিল করেন চাকরিহারারা। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রামলীলা ময়দানে জমায়েত। মৌলালিতে প্রতিবাদ কর্মসূচির জেরে পার্ক সার্কাস, মৌলালি, লেনিন সরণি, এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভার থেকে শুরু করে ধর্মতলায় ব্যাপক যানজট দেখা যায়। গন্তব্য পৌঁছতে বেশ বেগ পেতে হয় আমজনতাকেও।
Be the first to comment