অব্যাহত টাকার পতন। সপ্তাহের শুরুতেই তলানিতে পৌঁছল ডলার প্রতি টাকার দাম। এদিন সকালে বাজার খুলতেই ডলার প্রতি টাকার দাম কমে দাঁড়ায় ৮১ টাকা ৫০ পয়সায়, যা এখনও অবধি সর্বনিম্ন টাকার দাম। বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক মন্দার ছায়া দেখা দিয়েছে, তার জেরেই অধিকাংশ দেশের কারেন্সি বা মুদ্রার দরের পতন হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে এদিন ডলার দর চড়চড়িয়ে বাড়তেই ডলার পিছু টাকার দামে ব্যাপক পতন হয়েছে। এর আগে টাকার দামে পতন হয়ে সর্বনিম্ন ডলার পিছু ভারতীয় মুদ্রার দাম ৮০ টাকা ৩ পয়সায় নেমে দাঁড়িয়েছিল।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে বাজার বন্ধ হওয়ার সময় প্রতি ডলার পিছু ভারতীয় মুদ্রার দাম ছিল ৮১ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন বাজার খুলতেই তা কমে দাঁড়ায় ৮১ টাকা ৫২ পয়সায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছয়, ডলার পিছু টাকার দাম কমে দাঁড়ায় ৮১ টাকা ৫৫ পয়সায়। শুক্রবার ডলার প্রতি টাকার দাম ছিল ৮০ টাকা ৯৯ পয়সা।
পিটিআইয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশীয় মুদ্রার দামে ৩৮ টাকা পতন হয়েছে, যার ফলে ডলার পিছু ভারতীয় টাকার দাম ৮১ টাকা ৪৭ পয়সায় নেমে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে মন্দার প্রভাব ও ক্রমাগত ডলারের দাম বৃদ্ধির জন্যই ভারতীয় মুদ্রার দামের পতন বিগত কয়েক মাস ধরে অব্যাহত রয়েছে বলেই মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই আমেরিকা তাদের ফেডেরাল রিজার্ভ পলিসিতে পরিবর্তন আনে এবং সুদের হার বাড়িয়ে দেয়। মার্কিন ডলারেই বাণিজ্য পরিচালিত হওয়ায়, প্রায় ১২ টিরও বেশি দেশ তাদের সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হয়। এই কারণেই অর্থনীতির গতি আরও ধীর হচ্ছে এবং টাকার দামও ডলার পিছু ক্রমশ কমছে। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াও সুদের হার বা রেপো রেট বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু তাতে কতটা পরিবর্তন করা হবে, তা জানা যায়নি।
ডলারের দামের প্রেক্ষিতে ভারতীয় মুদ্রার দাম কমায়, বিনিয়োগকারীরা নতুন করে আর বিনিয়োগের ঝুঁকি নিচ্ছেন না। শুধু ভারত নয়, সমগ্র এশিয়ার বাজারেই অর্থনীতিতে ব্যপক প্রভাব দেখা গিয়েছে মন্দার। চিন ও জাপানের মুদ্রা ইউয়ান ও ইয়েনের দামেও পতন হয়েছে।
Be the first to comment