ডোমজুরের বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্মী খুনের রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত শেখ শামসুদ্দিনকে।
পুলিশ জানিয়েছে, শামসুদ্দিনের স্ত্রী একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করতেন। তিনি পার্থবাবুদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা শোধ করছিলেন না। এই বিষয়েই শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে যান ব্যাঙ্ক কর্মী পার্থ চক্রবর্তী। কিন্তু সেই সময় শামসুদ্দিনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। রাগের বশে পার্থবাবুর মাথায় আঘাত করে শামসুদ্দিন। পুলিশের অনুমান, তথ্য প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয় পার্থবাবুর মাথা, হাত, পা।
প্রসঙ্গত, ২৯ অগস্ট বুধবার পাঁচ জনের থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণের টাকা আদায়ের জন্য বেরিয়েছিলেন পার্থ চক্রবর্তী। চার জায়গা ঘুরে ৩ লক্ষ টাকাও তোলেন তিনি। কিন্তু তারপর আর পঞ্চম জায়গায় যাননি পার্থবাবু। এরপর পার্থ চক্রবর্তীর হাত, পা, মাথা কাটা দেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় মাকড়দহ এলাকা থেকে। দেহের মধ্যে লেগে থাকা কাপড়ের টুকরোকে সম্বল করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তবে মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হলেও হদিশ মিলছিল না পার্থবাবুর দেহের বাকি অংশের। শামসুদ্দিনকে গ্রেফতারের পর তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে পুলিশ। এরপর শামসুদ্দিনের কথা অনুযায়ী ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পার্থবাবু মাথা, হাত ও পায়ের অংশ। পুলিশ জানিয়েছে, যে তিন লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছিল সেটাও উদ্ধার করা হয়েছে শামসুমদ্দিনের কাছ থেকে। তবে এই খুনের ঘটনয় আরও কেউ জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ করছে ডোমজুর থানার পুলিশ। আরও তথ্যের হদিস পেতে ধৃত শামসুমদ্দিনকে জেরা করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
Be the first to comment