ট্রাম্পের কাছে ধাক্কা খেয়ে খানিকটা হলেও হুঁশ ফিরল পাকিস্তানের। সম্প্রতি ব্লুমবার্গে প্রকাশিত হয় পাকিস্তানের কয়েকজন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকের বক্তব্য। সেই বক্তব্যে কিন্তু ইঙ্গিত সেরকমটাই। যারই প্রত্যক্ষ প্রভাব হল কার্তারপুর নিয়ে পাক সরকারের তোড়জোড়। এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সেনা কর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, চিনের বন্ধুত্বের কারণে পাকিস্তানের কিছুটা উন্নতি হলেও, অর্থনীতি ভয়ঙ্করভাবে টালমাটাল হয়ে উঠছে। বিশেষ করে ঋণের বোঝা। চিনের অর্থনৈতিক করিডরের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলারের দেনা ঘাঁড়ে চেপেছে। অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের দ্বারস্থ হয়েছে পাক সরকার। এই পরিস্থিতিতে সেনা কর্তারাও বিলক্ষণ টের পাচ্ছেন সংকট। সীমান্তে ভারতকে ব্যস্ত না রেখে, নিজের ঘরেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
আর সেই প্রচেষ্টারই সুর ধরা পড়ল পাক সেনা আধিকারিক জাভেদ বাজওয়ার গলাতেও। যাকে বলা হয়ে থাকে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাবান নাগরিক। অবশ্য, এই বাজওয়া একসময় ভারতের এক সেনা আধিকারিকের নেতৃত্বেই রাষ্ট্রসঙ্গের শান্তি মিশনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনিও এবার কার্তারপুরকে ঘিরেই সম্পর্কে উন্নয়নে জোর দিচ্ছেন। তাহলে দেরিতে হলেও কি হুঁশ ফিরছে পাকিস্তানের? সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।
Be the first to comment