কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর সোমবার প্রথম অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ঠিক তারপরই ফের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ট্রাম্প ৷ জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে মধ্যপন্থা নিতে বলেন ইমরান খানকে ৷ ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনের সময় পাকিস্তানের স্পর্ধার কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ বলেছিলেন, ভারত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপস করতে রাজি নন ৷ দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে চড়া সুর বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন ৷ এরপরই ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয় ইমরান খানেরও ৷ হোয়াইট হাউজের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে ইমরানেরও ৷ সেখানেই সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি কমাতে এবং জম্মু-কাশ্মীর ইশুতে ভারতের সঙ্গে মধ্যপন্থা অবলম্বনের কথা বলেন ট্রাম্প ৷
এছাড়াও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরালো করতে আর্থিক ও বাণিজ্যিক দিকগুলি নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ৷ অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত একান্তভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা নিয়ে পাকিস্তান অযথা রাজনীতি করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুই বন্ধুর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর ৷ বাণিজ্য, কূটনীতি, বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির বিষয়ে কথা হয়েছে ৷ ট্রাম্প এই পরিস্থিতিকে “কঠিন” বলে উল্লেখ করলেও দুই বন্ধু্র সঙ্গে কথোপকথনকে “ইতিবাচক” বলে উল্লেখ করেছেন ৷
সোমবার প্রায় ৩০ মিনিট ফোনে কথা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে কথা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সন্ত্রাস রুখতে কঠিন সিদ্ধান্তের কথা বলেন। ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনে মোদি বুঝিয়ে দেন, পাকিস্তান যতদিন না সন্ত্রাসবাদের পথ থেকে সরবে, ততদিন পাকিস্তানের সঙ্গে এক টেবিলে আলোচনায় বসা সম্ভব নয় ৷ এরপরই ট্রাম্পের সঙ্গে ইমরানের কথোপকথন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ৷
Be the first to comment