ক্ষমতার অপব্যবহার করায় ইমপিচড ডোনাল্ড ট্রাম্প

Spread the love

অ্যামেরিকার হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস ভোটে ইমপিচড ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (অ্যামেরিকার সময়) এই ভোট হয়। ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে যত সংখ্যক ভোট দরকার ছিল হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে সেই সংখ্যক ভোট পড়েছে। ফলে বিপাকে ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসকে তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিলো।

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগটি ২৩০-১৯৭ ভোটে পাশ হয়। সেখানেই ২২৯-১৯৮ ভোটে পাশ হয় তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। প্রসঙ্গত অ্যামেরিকার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই লজ্জার সামনে ট্রাম্প। এর আগে ইমপিচড হয়েছিলেন বিল ক্লিন্টন ও অ্যান্ড্রু জনসন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ ছিল ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া। বিতর্কের সূত্রপাত বছর খানেক আগে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ ছিল, ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন এবং তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। হান্টার বাইডেন ইউক্রেনের একটি প্রাকৃতিক গ্যাস কম্পনির বোর্ড সদস্য ছিলেন। সেসময় তাঁর বাবা জো ছিলেন অ্যামেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট।

ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ফোন করে চাপ দেন, কীভাবে হান্টারকে নিয়োগ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করার জন্য। তা না করলে ইউক্রেনকে যে পরিমাণ সামরিক সাহায্য অ্যামেরিকা দিচ্ছে তা বন্ধ করার হুমকিও না কি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিপুল আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত করার বিষয়ে ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতা ও পদমর্যাদার ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ ডেমক্র্যাটদের।

দ্বিতীয় অভিযোগ ছিল, তদন্তে কংগ্রেসকে বাধা দেওয়া। মার্কিন সংবিধান অনুসারে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভরা একজন প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করতে পারেন দেশদ্রোহী, ঘুষ বা অন্য উচ্চতর অপরাধের প্রমাণ থাকলে। প্রথমে বিষয়টি উল্লেখ করা হয় ইমপিচমেন্ট সংক্রান্ত প্রতিবেদনে, তারপর সেটির ভোটাভুটি হয়। এই সংক্রান্ত লিপি প্রথমে অ্যামেরিকার কংগ্রেসে পাশ করতে হয়, তার পর দুই তৃতীয়াংশ ভোটে পাশ হলে তবেই কার্যকর হয় ইমপিচমেন্ট পদ্ধতি। কিন্তু এজেন্সি ও প্রশাসনিক কর্মচারীদের কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতা না করার নির্দেশ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

১৪ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা ইমপিচমেন্টের দাবিতে সিলমোহর পড়েছিল। মার্কিন আইনজীবীদের সংগঠনে ২৩-১৭ ভোটে পাশ হয়েছিল ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব। এরপর বুধবার (অ্যামেরিকার সময়)  হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ভোটে ইমপিচড ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটদের বক্তব্য, ট্রাম্পকে ইমপিচ করা ছাড়া তাদের হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসী ৷

প্রথম দিন থেকে যেভাবে অ্যামেরিকার মানুষের জন্য নিরলস পরিশ্রম করছেন, সেইভাবেই কাজ চালিয়ে যাবেন। রিপাবলিকানদের দাবি, ২০২০ নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটের পক্ষে ট্রাম্পকে হারানো অসম্ভব। তাই এই ইমপিচমেন্ট। অন্যদিকে ডেমোক্রেটদের বক্তব্য, ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকবেন কি না তার জন্য পরবর্তী নির্বাচনের অপেক্ষা করতে পারে না দেশ কারণ ২০২০ নির্বাচনকে কলুষিত করার চেষ্টা করবেন ট্রাম্প। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*