ভারত ও চিনের সীমান্ত সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগের, শুক্রবার একথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া, এদিন তিনি এও জানান, প্রয়োজন পড়লে পরিস্থিতি সামলাতে তিনি মধ্যস্থতা করতেও রাজি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি কিছু করতে পারি, তাহলে আমাদের পুরো বিষয়টিতে অংশগ্রহণ করতে কোনও আপত্তি নেই। ভারত ও চিনের প্রতি সম্মান রেখেই আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আমরা ভালবেসে দু’দেশের মধ্যে সমঝোতায় মধ্যস্থতা করতে পারি।’
এর আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্প দু’দেশের সমস্যা মেটাতে মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেবারে দু’দেশের পক্ষ থেকেই সেই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, তৃতীয় কোনও শক্তির এর মাঝে আসার দরকার নেই। কিন্তু ট্রাম্প মনে করেন অন্য কথা। তিনি জানিয়েছেন, চিন বেশি শক্তি প্রদর্শন করে ফেলছে বলেও তাঁর মনে হয়।
এছাড়া এদিন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়েও চিনকে দোষ দিতে ছাড়েননি ট্রাম্প। তিনি বলেন, রাশিয়ার টিকা আবিস্কারের থেকেও এখন চিনকে নিয়ে গোটা বিশ্বের কথা বলা উচিত। কারণ, চিন আরও জঘন্য কাজ করেছে। চিনের ভাইরাসের কারণে পরিস্থিতি কোথায় পৌঁছেছে, সে আপনারা সকলেই জানেন। পৃথিবী ১৮৮ টি দেশ ভুগছে। আমি একেরবারেই সন্তুষ্ট নই। চিন যা করেছে, তাতে ইউরোপ, আমেরিকা সহ প্রায় প্রতিটি দেশ সমস্যার মধ্যে রয়েছে।
এদিকে ভারত চিনের মধ্যে সমস্যা চললেও দু’দেশই নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার আলোচনায় বসেছিলেন দু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সেখানে প্রায় ২ ঘণ্টা, ২০ মিনিটের বৈঠক হয়। শেষ ব্রিগেড কমান্ড্যার পর্যায়ের বৈঠক হয় প্রায় বেশ কয়েকদিন আগে। তখন চিনের বিরুদ্ধে একাধিকবার শান্তি ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। এমনকী ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানিয়েও দেওয়া হয়, শান্তি পরিস্থিতি ভঙ্গ করছে চিন। চিনের কারণে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে। চিনের কারণেই সীমান্তে যত অশান্তি।
৩১ অগাস্ট ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকেও বলা হয়, চিনের পিএলএ সীমান্তে উত্তেজক গতিবিধি বজায় রেখেছে। প্যাংগং লেকের অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। তারপর শোনা যায়, চিনা সেনার সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। তার মানে, একের পর এক চেষ্টা চিন করেই চলেছে, আর সেই কারণেই বারবার সীমান্তে শান্তি ভঙ্গের দায় চাপছে চিনের উপরেই। যদিও তার উত্তরে চিন আলাদা করে কিছু বলেনি।
Be the first to comment