বড়সড় ধাক্কা। আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল প্রমাণ করল, ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অগ্নি পরীক্ষার মুখে ট্রাম্প । রিপাবলিকানদের হারিয়ে দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস দখলে নিল ডেমোক্র্যাটসরা। ডেমোক্র্যাটসদের এভাবে ফিরে আসায় চিন্তায় রিপাবলিকানরা।
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫টি আসনের ২১৯টি ডেমোক্র্যাটসদের দখলে, ১৯৩ রিপাবলিকানদের। ছবিটা বেশ পরিষ্কার, ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিভস ডেমোক্র্যাটসদের নিয়ন্ত্রণে। প্রায় ৭ শতাংশ ভোটের ব্যবধান থাকায় মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ হাতছাড়া রিপাবলিকানদের।
অবশ্য মার্কিন সেনেট রিপাবলিকানদের দখলেই রয়েছে। ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে সেনেটে রিপাবলিকানরাই। আমেরিকায় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০ সালে। ২০১৬ সালে বিপুল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঠিক ২ বছরের মধ্যেই ভোট ছবির উলটপুরান। তাই, মধ্যবর্তী নির্বাচনে সেনেট রিপাবলিকানদের দখলে থাকলেও, ২০২০-র জন্য তা পরিপূরক নয় বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, নিম্নকক্ষ জিতে আত্মবিশ্বাসী ডেমোক্রেটিক পার্টি। মেক্সিকোয় দেওয়াল তোলা, উদ্বাস্তু বিরোধী নীতি নিয়ে বার বার ডেমোক্র্য়াটসদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। জানা যাচ্ছে, এবার ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি নীতির বিরুদ্ধে আইনি পথে সরব হবে ডেমোক্র্যাটসরা।
আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় এলেও আশাবাদী নয় রাশিয়া। আমেরিকার সঙ্গে এখনই সম্পর্কে উন্নতি হবে বলে তারা মনে করে না। মঙ্গলবারই আমেরিকা জানিয়েছে, ব্রিটেনে এক প্রাক্তন চরকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। ডেমোক্র্যাটরা জিতেছে বলে আমেরিকার মনোভাব বদলাবে বলে রাশিয়া মনে করে না।
নিম্নকক্ষে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে আমেরিকার মানুষ প্রেসিডেন্টকে তিরস্কার করেছেন।
একই সঙ্গে পেশকভ বলেন,ডেমোক্র্যাটদের জয়ে আশাবাদী হওয়ার কারণ নেই। আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এখনই ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কম। তার মানে এই নয় যে আমরা আলোচনা করব না। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমাদের সঙ্গে আমেরিকার গুরুতর মতভেদ আছে। আলোচনা ছাড়া এই মতভেদ দূর হবে না।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন নির্বাচিত হয়েছিলেন, অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়া আমেরিকার ভোটে নাক গলিয়েছে। পেশকভ বলেছেন, আমরা অন্য দেশের ভোটে হস্তক্ষেপ করি না। আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সব সময়ই জটিল।
Be the first to comment