রোজদিন ডেস্ক :-
রাত পোহালেই আগামিকাল ধনত্রয়োদশী বা ধনতেরাস। তারপরেই দেওয়ালি, কালীপুজো, ভাইফোঁটা মিলিয়ে টানা ৬ দিনের মহোৎসবের শুরু। সেই ধনতেরাসের আগেরদিন অর্থাৎ এদিন সোমবার কলকাতার বুকে বেশ কিছু কালীপুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সব কালীপুজোর মধ্যে আছে গিরিশ পার্ক ফাইভ স্টার স্পোর্টিং ক্লাব, জানবাজার সম্মিলিত কালীপুজো সমিতি, ইয়ুথ ফ্রেন্ডস ক্লাব, চেতলা ইন্ডিয়া ক্লাব, ভেনাস ক্লাব প্রমুখ। সেই সব কালীপুজোর উদ্বোধনের মাঝে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে যেমন দেখা গিয়েছে ঢাক বাজাতে তেমনই তিনি আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী পক্ষের কাছে যে, ‘আমাকে বদনাম করতে গিয়ে বাংলাকে বদনাম করবেন না’।
আগামী বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর কালীপুজো। কিন্তু তার আগে এদিনই মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার বুকে গোটা ১০-১২ কালীপুজোর উদ্বোধন করে দিলেন। কার্যত সেই সব মণ্ডপে এদিন থেকেই দর্শনার্থীরা প্যান্ডেল ও প্রতিমা দর্শন করতে পারছেন। কালীপুজোর উদ্বোধনে এদিন সন্ধ্যায় জানবাজারে এসে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা তথা রাজ্যের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন। রানি রাসমণির প্রসঙ্গ তুলে জানবাজারের ইতিহাস তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, বিরোধীদের উদ্দেশে নাম না করে বলেন ‘কেউ কেউ বাংলার বদনাম করছে। তাদের বলব বাংলাটাকে নিজের ভাবুন। আজও বাংলা যা পারে তা কেউ পারে না। কলকাতা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। বাংলার বেশিরভাগ জায়গাই গর্ব করার মতো। কিন্তু কেউ কেউ এটা নিয়ে আবার রাজনীতি করে। তখন ছন্দপতন ঘটে। আমি আবেদন করব বাংলায় যারা থাকবেন তাঁরা বাংলাটাকেই নিজের ভাববেন।’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আজ বাংলা এগিয়ে গেছে। কলকাতা অনেক এগিয়ে গেছে। আমি বলব আমাকে বদনাম করতে গিয়ে বাংলাকে বদনাম করবেন না। বাংলা মাকে বদনাম করবেন না। স্বাধীনতা আন্দোলন বাংলা ছাড়া হত না। নব জাগরণ বাংলা ছাড়া হত না। শান্তিপ্রিয় জায়গা ছিল এই বাংলা। নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজির প্রিয় জায়গা ছিল এই বাংলা। তাঁরাই আমাদের দিশা। আর বলবো আলোর উৎসবে মেতে যেন কোনও ভাবে অন্যের ক্ষয়-ক্ষতি না হয় সেদিকটায় সবাই লক্ষ্য রাখুন। সাবধানে পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটান। শব্দদূষণ তো বটেই মানসিক দূষণ থেকেও বিরত থাকুন।’
Be the first to comment