গুজরাটের সরকারি হাসপাতাল। উপচে পড়ছে রোগীদের ভিড়। প্রসূতি মহিলার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক ধরা পড়লেন মদ্যপ অবস্থায়। মত্ত অবস্থাতেই ডেলিভারি করাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, তাতেই প্রাণ গিয়েছে এক প্রসূতি ও তাঁর কন্যাসন্তানের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটা ঘটেছে গুজরাটের বোতাড় জেলার সোনাওয়ালা সরকারি হাসপাতালে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃতার নাম কামিনীবেন চঞ্চিয়া (২২)। মৃতার পরিবারের দাবি, সোমবার তরুণীর প্রসব বেদনা উঠলে তাঁকে সোনাওয়ালা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। সেই সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন ডঃ পি জে লাখানি। তরুণীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনি মদ্যপ অবস্থাতেই রোগীদের চিকিৎসা করছিলেন। ডেলিভারির দায়িত্ব তাঁকেই দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রসবের সময়েই মৃত্যু হয় তরুণীর। কিছুক্ষণ পরে মারা যায় তাঁর সদ্যোজাত কন্যাসন্তানও। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তরুণীর পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। তরুণীর পরিবারের এক সদস্যের কথায়, “কামিনীকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসি, চিকিৎসক মদ্যপ ছিলেন। ওই অবস্থাতেই প্রসব করাতে গিয়ে মৃত্যু হয় মা ও সন্তান দু’জনেরই।”
বোতাড় থানার পুলিশ সুপার হর্ষদ মেহতা বলেছেন, “চিকিৎসকের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে তরুণী ও তাঁর সন্তানের। এমন অভিযোগই দায়ের হয়েছে থানায়। গোটা বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখছি।” অভিযোগের পরই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভাবনগর সিভিল হাসপাতালে তরুণীর দেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার হর্ষদ মেহতা। তিনি বলেছেন, ডঃ লাখানি ক্লাস টু মেডিক্যাল অফিসারের পদে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। তাই জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদেরও বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Be the first to comment