আজ বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে পরীক্ষামূলক ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। পাইলট প্রকল্পে ১৫ শতাংশ রেশন ডিলারকে আনা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে খাদ্য দফতর। তবে বেশ কিছু বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি বলেই জানাচ্ছেন রেশন ডিলারদের সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা গড়িয়েছে। যদিও রাজ্য খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, কোথাও কোনওভাবে পাইলট প্রজেক্ট আটকাচ্ছে না। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০ হাজারের বেশি রেশন ডিলারদের মধ্যে ৩২০০ জনকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।
এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘তিন হাজারের কিছু বেশি দোকান থেকে ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি যাবেন রেশন ডিলাররা। দু’জন মামলা করেছেন। সরকার তো করেনি। তাই ট্রায়াল হচ্ছেই। মূল অংশ শুরু হতে দেরি আছে। তার মধ্যে ডিলারদের সঙ্গে তাঁদের দাবি নিয়ে আলোচনা চলবে। আমরা আপাতত দেখে নিতে চাই পরিস্থিতি কেমন।’
জানা গিয়েছে, প্রতি কুইন্টালে ৫০ টাকা কমিশন বাড়ানো হয়েছে রেশন ডিলারদের। বায়োমেট্রিক করতে হলে মিলবে আরও ২৫ টাকা কুইন্টাল প্রতি। এখন কমিশন মেলে প্রতি কুইন্টালে ৭৫ টাকা৷ তবে ডিলারদের দাবি, সবমিলিয়ে ২০০ টাকা কমিশন দেওয়া হোক। সেখানে আপাতত দেওয়া হচ্ছে ১২৫ টাকা। রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েও দিয়েছে। তবে কমিশন বাড়লেও তা এখনও পছন্দ হয়নি রেশন ডিলারদের।
বিধিবদ্ধ রেশন এলাকার আওতায় থাকা সাব–এরিয়া ও সংশোধিত রেশন এলাকায় ব্লক–পুরসভা ভিত্তিতে ১৫ শতাংশ রেশন ডিলারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই রেশন ডিলাররা রেশন–গ্রাহকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রেশন পৌঁছে দেবেন। এটাকেই বলা হচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন’। গাড়ি কেনার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, রাজ্য সরকার গতিধারা প্রকল্পের আওতায় এক লক্ষ টাকা দিচ্ছে। সেই টাকায় গাড়ি কেনানোর ব্যবস্থাও রাজ্য সরকার করে দেবে। আর বাকি টাকা দিয়ে যিনি গাড়ি নেবেন তিনি তো তার মালিক হয়ে যাবেন। রেশন সরবরাহের পাশাপাশি সেই গাড়িকে অন্য সময়ে তিনি অন্য কাজে লাগাতে পারবেন। আমরা তো সেই কাজে বাধা দিতে যাব না।
Be the first to comment