নদীর জলে ভেসে গিয়েছে সেতু। তবু সেতু আছে ধরে নিয়েই চলছে পারাপার। বাস, লরি, ট্রেকার, গাড়ি সবেরই যাতায়াত চলছে এ ভাবেই। প্রতি মুহূর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। নদীর দুই তীরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ। নীরব দর্শক।
জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদী। গত কয়েকদিন ধরে ঝাড়গ্রামে তেমন একটা বৃষ্টি না হলেও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে । ফলে হঠাৎ করে ফুলে ফেঁপে উঠেছে ডুলুং নদী । গতকাল থেকে ব্রিজের উপর দিয়ে জল বয়ে যাওয়ার ফলে বন্ধ ছিল যোগাযোগ । আজ সকালে জল একটু নামতেই পারাপারের ব্যস্ততা । না করেই বা উপায় কী?
প্রতি বছরই বর্ষার সময় চিল্কিগড়ের কাছে ডুলুং নদীর এই সেতুটি ডুবে যায় । ফলে সমস্যা পড়তে হয় চিল্কিগড় থেকে শুরু করে চিঁচিঁড়া , গিধনি ও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের । চিল্কিগড় হাসপাতাল থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে আসার এটিই প্রধান রাস্তা । বাসিন্দারা জানান, বাম আমল থেকে বহুবার বড় ব্রিজ তৈরির জন্য দাবি জানানো হলেও তা এখনও হয়নি। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। এই পথ দিয়ে ঝাড়গ্রাম থেকে গিধনি , চিঁচিঁড়া রুটের প্রচুর বাস ও ট্রেকার যাতায়াত করে। এছাড়াও ঝাড়খণ্ড থেকে প্রতিদিন অসংখ্য লরির আনাগোনাও এই পথেই । তাই সেতু ডুবলেও চলে ঝুঁকির পারাপার।
জামবনির বিডিও সৈকত দে, বলেন, নতুন ব্রিজের জন্য মাটি পরীক্ষা হয়েছে। তবে কাজ কবে শুরু হবে তা এখনও স্থির হয়নি। তবে এই সেতুটি ডুবে গেলে যাতে বিপদ মাথায় করে মানুষ পারাপার না করে তার জন্য একটি বোর্ড লাগানো হবে।
Be the first to comment