মঙ্গলবার রাতে আবারও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেলো ধূপগুড়িতে।পাথর বোঝাই এক ডাম্পার উল্টে যায় এর ফলে ডাম্পারটির নিচে পরে যায় দুটি ছোট গাড়ি। দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। গুরুতর আহত আরও ১৫ জন এখন হাসপাতালে।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ির জলঢাকা সেতুরকাছে ময়নাতলি এলাকায়। জানা গেছে পিছন থেকে আসা একটি ছোট গাড়ি ধাক্কা পারে ডাম্পারটিকে ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ডাম্পারটি।পাশের দুটি গাড়ি চাপা পড়ে যায় ডাম্পারটির তলায়।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল আসে উদ্ধার কার্যে। তাদের সাথে উদ্ধার কার্যে নামে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখনও অবধি সঠিক ভাবে জানা যায়নি চাপা পড়ে থাকা গাড়ি ২টি তে মোট কতজন যাত্রী ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর বুধবার ভোর পর্যন্ত ডাম্পারটির নিচে চাপা পড়েছিল কিছু মৃতদেহ যার ফলে মনে করা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এই রাস্তায় রোজ প্রচুর ওভারলোডেড ডাম্পার চলাচল করে এর আগেও এরাম দুর্ঘটনা ঘটেছে ওই রাস্তায়। তারপরেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে যাতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে।
পুলিশ সূত্র খবর চাপা পড়া গাড়িগুলিতে কন্যাযাত্রীরা ছিলেন ।এই দুর্ঘটনায় শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে ।এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়, জলপাইগুড়ির এস ডি ও এবং পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন এখনও পর্যন্ত ১৪জনের মৃত্যু হয়েছে ,তবে তাদের সকলের পরিচয় জানা যায়নি।গাড়ির চালক কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।আহতদের ৫ জন কে ধূপগুড়ির হাসপাতালে ও ১১জন কে জলপাইগুড়ি জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানায় দূর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িগুলি ময়না তলি এলাকায় যাচ্ছিল।এবং গাড়িগুলি ভুল দিকে যাচ্ছিল বলেও মনে করা হচ্ছে প্রাথমিক তদন্তে। ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় বলেন ‘দুর্ঘটনার কথা আমি মুখ্যমন্ত্রী কে জানিয়েছি’ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সাথেও কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Be the first to comment