ডোনার নাচ, বাবুলের রবীন্দ্রসঙ্গীত , বি জে পির ভার্চুয়াল দুর্গাপূজা উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর নারী শক্তিকে নমন
এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুজো উদ্বোধন করলেন পশ্চিমবঙ্গে। সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে রাজ্য বিজেপি আয়োজিত দুর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ধুতি পাঞ্জাবি পরিহিত মোদীর পূজো উদ্বোধনের ভাঙ্গা বাংলা আর হিন্দি মিশ্রিত ভাষণের পুরোটা জুড়ে ছিল বাংলার জয়জয়াকার। রাজনীতির একটি কথা না থাকলেও টার্গেট যে ২০২১ তা স্পষ্ট। আর খুবই ইঙ্গিতবহ ভাষণের আগে ডোনা গাঙ্গুলির নাচের অনুষ্ঠানও।
আজ মোদীর ভাষণের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল বাংলা ও বাঙালির প্রশংসা। শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে সত্যজিৎ, ঋত্বিক ঘটক সবার অবদানের কথা উঠে এসেছে তার ভাষণে। উঠে এসেছে বাংলা ও বাঙালির ভারত গঠনে অসামান্য ভূমিকার কোথাও। প্রধানমন্ত্রী বলেন দূর্গা পুজোর উচ্ছাস দেখে মনে হচ্ছে তিনি দিল্লিতে নয় , রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। মোদীর ভাষণ শুরু হয় বিজেপির মহিলা মোর্চার উলুধ্বনি দিয়ে। মোদী জানান মা দুর্গা নারী শক্তির প্রতীক। তিনি দুর্গতিনাশিনী হয়ে সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর করেন। দূর্গা বাংলার ” বেটি “। বাঙালিরা বলে ” উমা এলো ঘরে “। বেটি রূপে, মা রূপে এই নারী শক্তিকে “নমন” করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন তিনি কাশির সাংসদ। কাশিতে দূর্গা মা অন্নপূর্ণা রূপে বিরাজিত। মা সবসময় চান , ” আমার সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে “।
প্রধানমন্ত্রী এর পর বাংলা ও বাঙালির উন্নতি কল্পে কেন্দ্রের বি জে পি সরকারের একের পর এক অবদানের কথা তুলে ধরেন – বাংলায় ৩০ লক্ষ মানুষের ঘর , চার কোটি ব্যাংকের খাতা সব হয়েছে কেন্দ্রের উদ্যোগে। বলেন বাংলা ভারতের পূর্বে অবস্থিত। সূর্যোদয় আরম্ভ হয় পূর্ব থেকে। আর বাংলা হবে সেই পূর্বের রাজধানী। শাস্ত্র আর অস্ত্র দিয়ে বাংলা আর বাঙালি দেশ সেবা করে গেছে । ভবিষ্যতে বাংলা ই সবকা সাথ আর সাবকা বিকাশের পথ দেখাবে। অনুষ্ঠান শুরু হয় সংসদ বাবুল সুপ্রিয়র ” জগৎ জুড়ে উদার সুরে আনন্দ গান বাজে ” রবীন্দ্রসঙ্গীত দিয়ে।
Be the first to comment