দুর্গাপুরে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে শহর জুড়ে মিশ্র প্রভাব। বনধের সমর্থনে মিছিল বের করে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপি কর্মীদের আটক করে পুলিস। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে সন্দীপ খুনে ৩ জনকে ৯ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দুর্গাপুর আদালত। কাঁকসায় বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষ খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে মিশ্র প্রভাব পড়ে দুর্গাপুরে। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে দোকান, বাজার অধিকাংশই খোলা ছিল। সরকারি, বেসরকারি যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে যাত্রী সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ছিল। এদিন সকালে বনধের সমর্থনে পানাগর বাজারে মিছিল বার করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। সেই মিছিলে বাধা দেয় কাঁকসা থানার পুলিস। বিজেপি কর্মীদের আটক করে কাঁকসা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা বাড়তেই দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল বের হয়। বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সায়ন্তন বসুর নেতৃত্বে মিছিলে বাধা দিলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। লকেট সহ ৫০জন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আটক করে দুর্গাপুর থানার পুলিস। লকেট সহ অন্যান্য কর্মীদের মুক্তির দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির বনধকে কার্যত আমল দিতে চাননি দুর্গাপুরে তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। দুর্গাপুরে বিজেপির বনধে মোট ৩০০ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিস। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সন্দীপ খুনে মূল অভিযুক্ত শেখ সইফুল এখন ও অধরা। তাঁকেই গ্রেফতারের দাবিতে এদিন সরব হন বিজেপির কর্মীরা। যদিও বিজেপির ডাকা বনধ ভেস্তে গিয়েছে বলে দাবি করছেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব।
Be the first to comment