প্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ৷ বয়স হয়েছিল ৯০ বছর ৷ বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি ৷ এসএসকেএমে চিকিৎসা চলছিল এই জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীর ৷ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন ৷ সোমবার সল্টলেকের বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ শিল্পীর প্রয়াণে শোকাহত সঙ্গীতমহল ৷
রবীন্দ্রসঙ্গীত ও বাংলা আধুনিক গানে তিনি এক অত্যন্ত জনপ্রিয় শিল্পী। চল্লিশের দশকের শেষ দিকে সলিল চৌধুরীর সুরে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের বেশ কিছু কাজ জনপ্রিয়তা লাভ করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করা হয় দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কে। সম্মানিত হয়েছিলেন পদ্মভূষণ সম্মানেও ৷ আজ বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে ৭টা অবধি তাঁর দেহ শায়িত থাকবে নন্দনে। তারপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে শোকজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা-
তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ
পশ্চিমবঙ্গ সরকার
নবান্ন, ৩২৫ শরৎ চ্যাটার্জি রোড
হাওড়া ৭১১১০২
স্মারক সংখ্যা: ৩৫৪/আইসিএ/এনবি
তারিখ: ২৪-১২-২০১৮
*মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা*
বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী দ্বিজেনদার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ ৯১ বছর বয়সে কলকাতায় প্রয়াত হয়েছেন। প্রায় ছয় দশক ধরে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় তাঁর গাওয়া দেড় হাজারের বেশি গান রেকর্ড হয়েছে। রবীন্দ্র সংগীতশিল্পীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। আকাশবাণীর ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-তে তাঁর গাওয়া ‘জাগো দুর্গা’ শ্রোতাদের স্মৃতিতে চিরউজ্জ্বল হয়ে থাকবে। ব্যক্তিগতস্তরে দ্বিজেনদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত সুমধুর। অশক্ত শরীর নিয়েও রাজ্য সরকারের সব অনুষ্ঠানে আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি উপস্থিত থাকতেন। তাঁর চলে যাওয়া ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতি। দ্বিজেনদার প্রয়াণে এক বড় অধ্যায়ের অবসান ঘটল।আমাদের স্মৃতির মণিকোঠায় তিনি উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে বঙ্গবিভূষণ, ২০১২ সালে সংগীত মহাসম্মান প্রদান করেছে। এছাড়া তিনি পদ্মভূষণ, সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার সহ অগণিত পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণ সংস্কৃতি জগতের বড় শূন্যতার সৃষ্টি করল। আমি প্রয়াত দ্বিজেনদার আত্মীয় পরিজনসহ তাঁর অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
*(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)*
Be the first to comment