মমতার প্রস্তাবিত রাজ্য সঙ্গীত দিয়েই শুরু বামেদের ব্রিগেড

Spread the love

রাজ্যের যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের শুরুতে গাইতে হবে রাজ্য সঙ্গীত। নিয়ম করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সে কথা জানানোও হয়েছে। ব্রিগেড সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ কার্যত ‘অক্ষরে অক্ষরে’ পালন করল বামেরা। ব্রিগেডের মেগা সমাবেশের শুরুটাই হল সেই রাজ্য সঙ্গীত দিয়ে।

DYFI-এর সমাবেশের শুভসূচনা ঘোষণাকারী উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হল কবিগুরুর ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি। এই গানটি ব্রিগেডের মূল মঞ্চে সমাবেশ শুরুর আগে পরিবেশন করছে চাকদহের একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। বাম ব্রিগেডে মমতার প্রস্তাবিত রাজ্য সঙ্গীত শুনে হোঁচট খেয়ে যান অনেকেই। যদিও ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের দাবি, সমাবেশের শুরুতে ওই গান গাওয়াটা আকস্মিক কোনও ঘটনা নয়। বা তাদের অজান্তেও হয়নি। সবটাই পরিকল্পিত।
বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্বের সাফাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবিগুরুর গানটিকে বিকৃত করেছিলেন। তারই প্রতিবাদে ওই গানটি অবিকৃতভাবে গাওয়া হল ব্রিগেডের মঞ্চে। ডিওয়াইএফআইয়ের কলকাতার জেলা সম্পাদক পৌলমী মজুমদার এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ধর্মীয় বিভাজনের প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথ এই গান লিখেছিলেন। আজকের প্রেক্ষাপটে তা তাৎপর্যপূর্ণ। তাই ব্রিগেড সমাবেশের শুরুতে এই গানটি গাওয়া হয়েছে।”
মজার কথা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সঙ্গীত বিকৃত করেছেন বলে যে অভিযোগ বামেরা করছে, সেটা সত্যি নয়। মুখ্যমন্ত্রী শুরুতে গানটির শেষ দু’টি স্তবকে ‘বাঙালির পণ, বাঙালির আশা’ বা ‘বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন’ অংশটিকে ‘বাংলার’ করে গাওয়ানো যায় কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন বটে। কিন্তু পরে বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথের মূল গানটিকেই রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে বাছা হয়েছে। আর সেই গানটিই এদিনের ব্রিগেড সমাবেশে গাওয়া হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*