শূন্যপদে নিয়োগ, নতুন ট্রেন চালু, রেলের বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা সহ মোট ১২ দফা দাবিতে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে রেল অবরোধ করলো ডিওয়াইএফআই। সিপিএমের যুব সংগঠনের অবরোধের জেরে বিভিন্ন জায়গায় বিঘ্নিত হয় রেল পরিষেবা। এদিন অবরোধকারীদের উপর দিয়ে ট্রেন চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে যাদবপুর স্টেশনে। গুরুতর আহত হন ৪ ডিওয়াইএফআই কর্মী। জখম হন আরও কয়েকজন। তাদের স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন যাদবপুর স্টেশনে অবরোধ ঘিরে অশান্তি চলাকালীন ঘটনাস্থলে যান সিপিআইএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি। তাঁর কথায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তবে স্টেশন মাস্টার ও রেল পুলিশের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম নেতা-কর্মীরা।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঢাকুরিয়া স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নুঙ্গিতেও অবরোধ তুলতে গেলে রেল পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে অবরোধকারীদের। পাশাপাশি, কাঁচরাপাড়া, বজবজ, সিউড়ি, বোলপুর, ঝাড়গ্রাম, মালদহ, নিউ কোচবিহার-সহ একাধিক জায়গায় শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। যার জেরে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। সিউড়িতে অবরোধ ওঠাতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়।
এদিকে আসানসোলের কালিপাহাড়ি ও রানিগঞ্জ স্টেশনে অবরোধের জেরে আটকে পড়ে কয়েকটি ট্রেন। দুর্গাপুর স্টেশন ও পানাগড় রেল স্টেশনে অবরোধ করেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। একই ছবি দেখা যায় উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা স্টেশনে। আটকে পড়ে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। অবরোধ চলে মেদিনীপুর স্টেশন, খড়গপুর এবং বালিচক স্টেশনেও। বাঁকুড়ার মশাগ্রামে ট্রেনের সামনে অবরোধ করেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ জলপাইগুড়ি স্টেশনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।
কোলাঘাটেও প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ।
সারাদিন বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রেল পরিষেবা। চরম দুর্ভোগের মুখে পরতে হয় নিত্যযাত্রীদের।
Be the first to comment