ফের ভূমিকম্প। একের পর এক ভূমিকম্পে কাঁপছে রাজধানি এবং লাগোয়া অঞ্চল। শুক্রবার ভোর ৫টা ৩৭ নাগাদ কেঁপে উঠেছে হরিয়াণা। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ২.৩। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলেও এইরকম একটি কম্পন হয়েছে।
লকডাউন জুড়ে কমপক্ষে ১২টি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দেশের রাজধানী দিল্লি। ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থল ছিল রোহতাক থেকে ১৫ কিমি পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ কিমি গভীর ছিল কম্পনের কেন্দ্রস্থল।
তবে কম মাত্রার কম্পনের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই এখনও পর্যন্ত খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে পর পর কম্পনের জেরে হরিয়ানা,দিল্লিতে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
গত দু-তিম মাস ধরে হরিয়ানা, দিল্লি সহ উত্তর ভারতে ক্রমাগত মাঝারি ও কম মাত্রার কম্পন অনুভূত হচ্ছে। এদিন সকালে কম মাত্রার কম্পন অনুভূত হয় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও। গতকাল, বুধবার কেঁপে উঠে মহারাষ্ট্রের মুম্বই শহরও। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ২.৫। তার দুদিন আগে জম্মু ও কাস্মীরের জোরালো ভূমিকম্প হয়। ২৪ ঘন্টায় তিনবার কেঁপে ওঠে ভূস্বর্গ। তাজাকিস্তানে জোরালো কম্পনের জের আছড়ে পড়ে জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকায়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.৮।
প্রসঙ্গত, জুনের ১৪ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ অবধি তিনবার ভুমিকম্পে কেঁপে উঠেছে গুজরাত। ভূমিকম্পের ভয়াবহ স্মৃতি রয়েছে গুজরাতের। শেষবার ২০০১ সালে প্রবল ভূমিকম্প হয় সেই রাজ্যে। এছাড়া, ১৯৫৬ ও ১৯১৮ তেও ব্যাপক ভূমিকম্প হয় গুজরাতে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একইভাবে কেঁপে উঠেছে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। জানা গিয়েছে, এদিন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫। ভূমিকম্পের তীব্রতা মাঝারি হলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে গোটা উত্তর-পূর্বেই।
মিজোরাম রাজ্যের চাম্পাই জেলায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার ভেতরে কম্পনের উৎসস্থল বলেই জানিয়েছে স্থানীয় সিসমিক সেন্টার। শিলং সহ উত্তর-পূর্বের সকল বড় শহরে ভূমিকম্প স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। তবে মেঘালয়ে ভূমিম্পের জেরে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
Be the first to comment