ফের প্রবল কম্পন, এই নিয়ে চতুর্থবার কেঁপে উঠলো মিজোরামের মাটি

Spread the love

বুধবার সকালে ফের কেঁপে উঠল মিজোরামের মাটি। বুধবার সকাল ৮.০২ মিনিটে ভুমিকম্প অনুভুত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানাচ্ছে রাজ্যের চম্পাইয়ের দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিমে ৩১ কিমি গভীরে কম্পনের উৎসস্থল।

রবিবার থেকে এই নিয়ে চতুর্থবার কাঁপল মিজোরাম। বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন উত্তর পূর্ব রিজিয়নের উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। সব ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মিজোরামকে। এদিকে, রবিবার ও সোমবার পরপর দু’দিন বেশ ভালো রকম ভূমিকম্প হয় এই রাজ্যে।

এরপর বুধবার রাতে ফের ভূমিকম্প। এদিন রাতে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.২। মিজোরামের চম্পাই থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এই কম্পনের উৎসস্থল। রাত ১১ টা ৩ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে এই কম্পনের কথা জানানো হয়েছে। এর আগে সোমবারও ভূমিকম্প হয় মিজোরামে।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছে, মিজোরামের চম্পাই জেলা থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এই কম্পনের উৎসস্থল। জুনের ২১ তারিখ অর্থাৎ রবিবার অসমের গুয়াহাটি সহ একাধিক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশি রাজ্য মেঘালয়, মণিপুর এবং মিজোরামেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। রবিবার বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে এই কম্পন হয়েছে।

রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ৫.১। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু মিজোরামের আইজল জেলা বলে জানা গিয়েছে। একাধিক বড় বিল্ডিং, চার্চ, হাইওয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ফাটল দেখা গিয়েছে সোমবারের ভুমিকম্পে। তবে পুরোপুরি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, জুনের ১৮ তারিখ ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দিয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে। এদিন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫। ভূমিকম্পের তীব্রতা মাঝারি হলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে গোটা উত্তর-পূর্বেই। মিজোরাম রাজ্যের চাম্পাই জেলায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার ভেতরে কম্পনের উৎসস্থল বলেই জানিয়েছে স্থানীয় সিসমিক সেন্টার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*