শুক্রবার ভোর ৫টায় ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উপত্যকা ৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.০ ৷ পূর্ব কাটরা ও জম্মু ও কাশ্মীরের ভূমিকম্প অনুভূত হয় ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি ৷ জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে কম্পনের তীব্রতা কম থাকায় সেরকম কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ৷
ভারতের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমের রাজ্যগুলির বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই কম্পন অনুভূত হচ্ছে।এর আগে ২৭ জুন উপত্যকায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে সেই সময় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৪ । ওই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে ১৬ জুলাই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে অসম ৷ ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে ওঠে মেঘালয়ও ৷ তবে ক্ষয়ক্ষতি কিছু হয়নি ৷ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকা বারেবারে কেঁপে উঠছে ৷ এর জেরে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা বাড়ছে ৷ বারে বারে ভূমিকম্প হওয়া কী আগামী দিনে কোনও বড় প্রাকৃতিক দূর্যোগের সঙ্কেত ৷
বারবার ভূমিকম্প হওয়ায় বিশেষজ্ঞদের দু’ধরনের মত সামনে এসেছে ৷ একদল বলছে ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়ে যাওয়ায় বড় ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভবনা কমে যাচ্ছে ৷ আবার আরেক দলের মত ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের সংকেত ৷
সরকারের রেকর্ড অনুযায়ী, দিল্লি ও এনসিআর ভূমিকম্পের অধিক তীব্রতার জোন ৪ এর মধ্যে আসে ৷ এখানে রিকটার স্কেলে ৮ তীব্রতার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ দিল্লিতে প্রায় ৬০ শতাংশ অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি বিল্ডিংয়ের ৮০ শতাংশ অসুরক্ষিত ৷ ফলে এখানে ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি হলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে ৷
Be the first to comment