দিল্লি, অরুণাচলের পর এবার কেঁপে উঠল পাঞ্জাব

Spread the love

ঘড়িতে তখন রাত ৩.৪৬ মিনিট। মেঝেতে পা রাখতেই দুলে উঠল বাড়ি। দেওয়ালে হাত দিতেই মনে হল সবকিছু দোদুল্যমান। তবে প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা খেলেও সেকেন্ডের মধ্যেই ভূমিকম্পের কথা বুঝতে অসুবিধা হয়নি পাঞ্জাবের বাসিন্দাদের। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১।

রবিবার মধ্যরাতে নাগাদ আচমকাই কেঁপে ওঠে পাঞ্জাবের একাধিক এলাকা। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই কম্পনের উৎসস্থল।রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে দু’বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল দিল্লি ,নয়ডা, গুরুগ্রাম সহ রাজধানী সংলগ্ন এলাকায়। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ আচমকাই কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। পাঁচ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল সেই কম্পন, যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে ঘরছাড়া হন রাজধানীর বাসিন্দারা।

গত সপ্তাহে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছিল দিল্লি ও আশেপাশের অঞ্চলে। সেদিন রাত দুটো নাগাদ রিখটার স্কেলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল, যার রেশ ছড়িয়ে পড়েছিল দিল্লিতে।

ঠিক তার পরের দিন অর্থ্যাৎ গত বুধবার মাঝরাতে ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয় আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। রিখটার খেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। এর পরেই বৃহস্পতিবার সকালে ফের কেঁপে ওঠে অরুণাচল প্রদেশ। এই কম্পনের উৎস ছিল সিয়াং এলাকায় মাটির নিচে দশ কিলোমিটার গভীরে। সিয়াংয়ের সেই কম্পনে কেঁপে উঠেছিল গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত। রিখটার স্কেলে সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৭।এবার সপ্তাহের শুরুতেই ফের ভূমিকম্প।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*