এক সপ্তাহে কয়েকবার পর পর ভূমিকম্প, কলকাতা সহ বাংলায় মেগা ভূমিকম্পের আশঙ্কা

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- নেপালে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যা বিহার এবং উত্তরবঙ্গেও অনুভূত হয়। এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞরা কলকাতা সহ বৃহত্তর অঞ্চলে মেগা ভূমিকম্পের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ভূ-পৃষ্ঠের নড়াচড়া, মাটির গঠন এবং অন্যান্য কারণে এই আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। শুক্রবার রাত ২টো ৩৬ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কমপনের তীব্রতা ৬.১। বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে প্রায় ১৮৯ কিমি উত্তরে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র। কম্পন অনুভূত হয়েছে বিহার ও উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
বৃহস্পতিবার কাকভোরে ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভুটান ও চিনের একাধিক এলাকায় কম্পন হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.০। অসমের মরিগাঁও ছিল ভূমিকম্পে উপকেন্দ্র।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বিস্তীর্ণ অংশ কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পে মাত্রা ছিল ৫.১। উৎস্থল ছিল বঙ্গোপসাগর।তার আগে দিল্লিতে হয়েছিল ভূমিকম্প। দিল্লির ধৌলাকুঁয়া ছিল উপকেন্দ্র। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। গোটা সপ্তাহ জুড়ে পর পর ভূমিকম্প হয়ে চলেছে দেশ জুড়ে। এর এই কম্পন চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের কপালে।

এবার বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কায় বিজ্ঞানীমহল। যার ফলে নিশ্চিহ্ন হতে পারে কলকাতা-সহ বঙ্গের বড় অংশ। বাদ যাবে না বাংলাদেশও। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞের মতে, কলকাতার নীচে পাঁকে ভরা। বড় ভূমিকম্প হলে বসে যাবে ঘরবাড়ি। প্রায় ২০ ফুট কাদা মাটির তাল মাটির উপরে উঠে আসবে।তাঁরা জানান, একটি শক্তি ক্রমশ জমা হচ্ছে মাটির নীচে। যত শক্তি পুঞ্জীভূত হবে তত বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে। এদিকে কলকাতা যে প্লেটের ওপর রয়েছে তা প্রতি নিয়ত নড়াচড়া করছে। যার কারণে ভূমিকম্প হচ্ছে।
কলকাতার তলায় আছে ইন্ডিয়ান ও টিবেটান প্লেট। প্রতি বছর এই ইন্ডিয়ার প্লেট ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে টিবেটান প্লেটের দিকে। যার কারণে লাগছে ধাক্কা। হচ্ছে ভূমিকম্প।
এছাড়াও আর দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে কম্পনের। বিশেষজ্ঞের মতে, মাটির তলার জল কমে যাওয়ার কারণে হচ্ছে কম্পন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*