মণিপুর জয় করে শিলং জয়ের লক্ষ্যে পা দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দুই অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফেরার কথা বলেছিলেন কোচ আলেজান্দ্রো মেনেন্দেজ। হলোও তাই। বিদেশীহীন শিলং লাজংকে স্রেফ অভিজ্ঞতায় হারিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল।
খেলার শুরু থেকে প্রাধান্য ছিল শিলং লাজংয়ের। বল পজিশন তাঁদের ছিল বেশি। কিন্তু আক্রমণ করলেও অ্যাটাকিং থার্ডে এসে সব আক্রমণ খেই হারিয়ে ফেলছিল। ৫ মিনিটের পর থেকে ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। ১১ মিনিটের মাথায় লালরিনডিকা রালতের ফ্রিকিক থেকে দূরন্ত হেডে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন জবি জাস্টিন। এটাই তাঁর এ বারের আইলিগের প্রথম গোল।
মাঝমাঠে প্রাধান্য নিয়ে খেলছিল ইস্টবেঙ্গল। ডিফেন্সে জনি অ্যাকোস্টা ও বোরহার জুটির মধ্যে বোঝাপড়া হচ্ছিল বেশ ভালো। ফলে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি গোলকিপার রক্ষিত ডাগরকে। প্রথমার্ধের শেষদিকে ৪১ মিনিটের মাথায় লাজং ডিফেন্সের ভুলে বল পান গত ম্যাচের নায়ক এনরিকে এসকুয়েদার। ঠাণ্ডা মাথায় বল রাখেন জবির উদ্দেশে। জোরালো ভলিতে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জবি জাস্টিন।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় লাজং। কিন্তু সুযোগ বেশি তৈরি করতে পারছিলেন না রাকেশ, স্যামুয়েলরা। অন্যদিকে এনরিকে থাকায় এ দিন স্ট্রাইকার হিসেবে বেশ ঝকঝকে দেখাল জবি জাস্টিনকে। বোঝা গেল ঘরোয়া লিগে লোন স্ট্রাইকার হিসেবে খেলার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে স্যামুয়েলের ফ্রিকিক একটুর জন্য বার উঁচিয়ে বেরিয়ে যায়। ৭১ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ১ গোল শোধ করেন রাকেশ। ২ মিনিট পরেই প্রতি আক্রমণ থেকে ঠাণ্ডা মাথায় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন বিদ্যাসাগর সিং।
এরপরেও গোল শোধের অনেক চেষ্টা করে লাজং। শেষ দিকে ২ মিনিটের ব্যবধানে লাজং খেলোয়াড়দের দুটি শট পোস্টে লেগে ফেরে। একের পর এক আক্রমণে মাঝে মধ্যে চাপে পড়ে যাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ যেতে তারা।
এই জয়ের ফলে প্রথম দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। শুরুতেই লিগের শীর্ষে তারা। কোচ আলেজান্দ্রো মেনেন্দেজ অবশ্যই খুশি দলের ছেলেদের পারফরম্যান্সে। খুশি সমর্থকরাও। যাঁরা অ্যাওয়ে সারাক্ষণ মাঠে দলকে উৎসাহ জাগিয়ে চললেন।
Be the first to comment