মাঝপথে বাধা লোহার বিম। থমকে টানেল বোরিং মেশিন। পাইলট টানেল তৈরি করে লোহার বিম কাটার কাজ চলছে। শহর কলকাতার যাত্রী পরিবহনে নতুন দিশা দেখাতে চলেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। কিন্তু তার পথেই বাধা? জমি জট, ঠিকাদারি ঝঞ্ঝাটে আগে একাধিকবার থমকেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ।
এবার পথে বাধা লোহার বিম। টানেল বোরিং মেশিন এগিয়ে যেতে বাধা পাচ্ছে এই বিমের কারণেই। বর্তমানে নর্থ-সাউথ মেট্রোয় যেখানে এসপ্ল্যানেড স্টেশনটি রয়েছে, তার ঠিক ১৩ মিটার নীচে তৈরি হচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড স্টেশন। মাটির নীচে নিঃশব্দে ঘটে যাচ্ছে পরিবহন বিপ্লব। নর্থ-সাউথ মেট্রোর লাইন যেখানে আছে তার ১৩ মিটার নীচে ওই লাইনের আড়াআড়ি যাবে নতুন মেট্রোর লাইন। একটি টানেল যাবে প্রেরণা, অপরটি রচনা। নর্থ-সাউথ মেট্রো টানেলের গঠন অনেকটা খালের মতো। প্রকল্প তৈরির সময় যানজট এড়াতে রানি রাসমণি ও এস এন ব্যানার্জি রোডের মাঝের অংশে তৈরি করা হয়েছিল একটি অস্থায়ী ব্রিজ। সেই ব্রিজের লোহার কাঠামোর নীচের দিকের অংশই রয়ে গেছে মাটির নীচে। নর্থ-সাউথ মেট্রো চালু হওয়ার পর সেই লোহার বিমগুলো মাটির নীচ থেকে বের করা হয়নি। এখন এই লোহার বিমের জন্যই থমকে কাজ। টানেল বরাবর এই লোহার বিম কাটার জন্য আনা হয়েছে আলাদা মেশিন। কারণ টানেল বোরিং মেশিন শুধু সলিড মাটি কাটার কাজ করতে পারে। লোহা কাটা এই মেশিনের পক্ষে সম্ভব নয়।
তাই রচনা ও প্রেরণা টানেলের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী টানেল। যেখান দিয়ে মেশিন প্রবেশ করিয়ে কাটা হচ্ছে লোহার বিম। সেই লোহার বিমগুলি কাটা হলে তবেই সামনে এগোবে টানেল বোরিং মেশিন। আপাতত এসপ্ল্যানেড এলাকাতেই থমকে রয়েছে মেশিনটি। যেহেতু বহু দিনের পুরনো স্ট্রাকচার কাটার কাজ চলছে তাই উপরের অংশে মেট্রোর গতিও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এসপ্ল্যানেড থেকে ময়দান এবং এসপ্ল্যানেড থেকে চাঁদনি চক এই অংশে মেট্রো প্রতি ঘণ্টায় চলছে ১০ কিলোমিটার গতিতে। কবে বাধা পেরিয়ে ফের এগোবে টানেল বোরিং মেশিন? তার অপেক্ষাতেই রয়েছেন সকলে।
Be the first to comment