রফিকুল জামাদার –
মনোনয়ন জমার সময়সীমা বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করার ১২ ঘন্টা পার হতে না হতে সেই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে নির্বাচন কমিশন। কেনো এই সিদ্ধান্ত রাতারাতি বদল করলেন নির্বাচন কমিশন? তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের দাবি, শাসক দলের চারমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারের বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখিয়ে এসেছেন, তাই নির্বাচন কমিশন নিরুপায় হয়ে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, তারা কোনোবাভেই নির্বাচন কমিশনকে চাপ দেয়নি। তবে এইভাবে নমিনেশনের সময়সীমা আইনগত ভাবে বাড়ানো যায় না, সেই কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনারকে। পরে তিনি আইনগত দিক চিন্তা করেই ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন। এখানে ভয় দেখানোর মত কিছু করা হয়নি তৃণমূলের পক্ষ থেকে। যদিও সিপিএম নেতা তথা বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, “নির্বাচন কমিশনারকে ভয় দেখিয়ে তার উপর চাপ তৈরি করে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করিয়েছে শাসকদলের মন্ত্রীরা।” এদিন তিনি এ ও বলেন, “নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বুঝিয়েদিলেন তিনি মেরুদণ্ডহীন।” সুজনের সুরে একই অভিযোগ করেছেন মুকুল রায়ও। তিনি বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনারকে তৃণমূল এর মন্ত্রীরা বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখিয়েছেন, তাই নমিনেশন জমা দেওয়ার সময়সীমার বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেছেন নির্বাচন কমিশন।” বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন, “শাসকের মন্ত্রীদের ভয়ে মাথানত করতে হল নির্বাচন কমিশনকে। এটা লজ্জা।” যদিও শাসক দল বিরোধীদের সব অভিযোগ খারিজ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি এইভাবে নমিনেশনের সময়সীমা বাড়ানো যায় না, এতে আইনগত ও পদ্ধতিগত ভুল থাকে। আমরা নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম। পরে নির্বাচন কমিশন আইনের দিক ভেবেই ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন।”
Be the first to comment