অভিনেতা দিনো মোরিয়া, সঞ্জয় খান আর ডিজে আকিলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED) ৷ শুক্রবার গুজরাতের ওষুধ কোম্পানি স্টারলিং বায়োটেক গ্রুপের টাকা তছরুপের অভিযোগে আপাতত সঞ্জয় খানের ৩ কোটি, দিনো মোরিয়ার ১.৪০ কোটি, ডিজে আকিলের ১.৯৮ কোটি আর ইরফান আহমেদ সিদ্দিকির ২.৪১ কোটি টাকা পিএমএলএ-র (Prevention of Money Laundering Act, 2002) আওতায় বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি ৷
দিনো মোরিয়া, সঞ্জয় খান, ডিজে আকিল, ইরফান আহমেদ সিদ্দিকি, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আলাদা করে পিএমএলএ-র (Prevention of Money Laundering Act, 2002) অধীনে ৫ নম্বর ধারায় আদেশ জারি করা হয়েছে ৷ বিভিন্ন ব্যাঙ্ককে ঠকানোর অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই (Central Bureau of Investigation) ৷
এদিন স্টারলিং বায়োটেক গ্রুপের দুই প্রোমোটর নীতিন সনদেসারা আর চেতন সনদেসারার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে পিএমএলএ, 2002 (Prevention of Money Laundering Act, 2002)-তে আপাতত স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৮.৭৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি ৷ এই নিয়ে মোট ১৪,৫২১.৮০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি ৷
তদন্তে জানা গিয়েছে, দুই সনদেসারা “প্রসিড অফ ক্রাইম”-এ (Proceed of Crime) অর্থাৎ কোনও অপরাধমূলক কাজ করার বিনিময়ে ওই চারজনের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছিল ৷ এর আগে ইডি ১৪,৫১৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল ৷ শুক্রবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে তার পরিমাণ দাঁড়াল ১৪,৫২১.৮০ কোটি টাকা ৷ আর এই “প্রসিড অফ ক্রাইম”-এ ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করা হয়েছে ৷
একটি মূল অভিযোগের সঙ্গে আরও চারটি অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করেছে ইডি ৷ যদিও গা ঢাকা দিয়েছে নীতিন সনদেসারা, চেতন সনদেসারা, তাঁর স্ত্রী দীপ্তি সানদেসারা আর হীতেশ প্যাটেল ৷ বিশেষ আদালতের রায়ে তাঁদের “পলাতক” ঘোষণা করা হয়েছে ৷
Be the first to comment