প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED-র তদন্তকারী আধিকারিক বদল। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ED-র অধিকর্তাকে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ED-র ইনভেস্টিগেটিং অফিসার মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা বাংলার কোনও দুর্নীতির তদন্ত করতে পারবেন না ED-র এই অফিসার, এমনই নির্দেশ হাইকোর্টের। মিথিলেশ মিশ্র ED-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে রয়েছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ED-র এই আধিকারিক। সেই সময় তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আর আজ সেই ED আধিকারিককে তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আইনজীবী মহলের একাংশ। মিথিলেশ মিশ্রর জায়গায় অন্য ED আধিকারিককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ED আধিকারিক মিথিলেশ মিশ্রকে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘আপনি কি তদন্ত থেকে অব্যাহতি চান? যে যা নথি দিচ্ছে তা যাচাই না করেই তা জমা দিয়ে দিয়েছেন। কিছু যাচাই না করেই প্রকাশ করে দিয়েছেন। আপনি এই তদন্ত করার জন্য যোগ্য নন।’ নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে অভিযান চালায় ED। সেই সূত্রে ৩ অক্টোবর CGO কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে। CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দেবেন না বলে এক্স হ্যান্ডেলে শুক্রবার জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে তা উল্লেখ করেছেন। তা শুনে ED অধিকর্তা উদ্দেশে বিচারপতির নির্দেশ, কোনওভাবেই যেন তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত না হয়।
কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতারি পর তাঁর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে অভিযান চালায় ইডি। সেখান থেকে পাওয়া নথির ভিত্তিতে ওই সংস্থার ডিরেক্টর, সিইওসহ শীর্ষকর্তাদের সম্পত্তির নথি জমা দেওয়ার জন্য ED-কে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালতের নির্দেশে মুখ বন্ধ খামে সেই নথি আদালতে জমা করে ED। ED-র জমা দেওয়া নথিতে অভিষেকর সম্পত্তির খতিয়ান দেখে ED-র উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, ‘অভিষেক সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর কীভাবে কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? বেতনের টাকা কোথায় জমা পড়ে? আপনারা কী পোস্ট অফিসে কাজ করেন? যাচাই না করেই নথি জমা করে দিয়েছেন।’
Be the first to comment