সপ্তাহের প্রথমদিনই তৎপর ইডি। সোদপুরের রাজেন্দ্রপল্লীতে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তবে ঠিক কোন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা সেখানে পৌঁছেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইডি সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির রাজেন্দ্রপল্লীতে বাস করেন সুব্রত মালাকার। পেশায় তিনি চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। তবে বর্তমানে সেই কাজের সঙ্গে আর তিনি যুক্ত নন বলে খবর। এখন কী কাজ করেন তা জানা যায়নি।
আজ সকাল-সকাল মালাকারের বাড়িতে পৌঁছন ইডির দুই সদস্যের প্রতিনিধি এবং দু’জন স্টেট ব্যাঙ্কের আধিকারিক। টানা কয়েক ঘণ্টা জেরা করা হয় সুব্রত মালাকার ও তাঁর পরিবারকে। খতিয়ে দেখা হয় বিভিন্ন ফাইল, ডকুমেন্টস ও দলিল। ঘরের আনাচে-কানাচে চালোনো হয় তল্লাশি।
এ দিকে, এলাকায় গোয়েন্দা আধিকারিকরা পৌঁছতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমিয়েছেন। এক বাসিন্দা বিজয় ভৌমিক বলেন, ‘সুব্রত মালাকার এখানে প্রায় পাঁচ-সাত বছর আগে এসেছিলেন। তবে কারোর সঙ্গে বেশি মেলামেশা করতেন না। এলাকার কোনও অনুষ্ঠানে থাকতেন না।’ আর এক বাসিন্দা জানান, ‘ওনাকে বেশি দেখা যেত না। আমি বলতে গেলে ওনাকে দেখিইনি। তেমন একটা কথাবার্তা বলতেন না। বাজার করতে যেতেন দেখতে পেতাম।’ স্থানীয় সূত্রে খবর, সুব্রত মালাকারের বাড়িতে তিনি তাঁর স্ত্রী ও সন্তান ও বৃদ্ধ বাবা থাকতেন।
এ দিকে, চিটফান্ডে কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। রবিবার তাঁর ঘনিষ্ঠ বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআই। এর পাশাপাশি হালিশহরে এক রাজু ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। হালিশহর ও বীজপুর মিলিয়ে মোট ছয়টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।
Be the first to comment