মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম ভাষণেই কেঁদে ফেললেন একনাথ শিণ্ডে ৷ সোমবার আস্থা ভোটে জয়ের পর বিধানসভায় বলতে ওঠেন মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রী ৷ উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা তাঁর পরিবারকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয় বলে জানান তিনি ৷ কথা প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন একনাথ শিণ্ডে ৷ কেঁদে ফেলেন তিনি ৷
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওরা আমার পরিবারের উপর হামলা করে৷ আমার বাবা বেঁচে আছেন৷ মা অনেকদিন হল মারা গিয়েছেন ৷ আমি কখনও আমার বাবা-মাকে বেশি সময় দিতে পারিনি ৷ আমার ছেলে শ্রীকান্তকেও আমি বেশি সময় দিতে পারিনি ৷ আমার দুই সন্তান তখন মারা গিয়েছে ৷ সেই সময় আনন্দ দিঘে আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন ৷ শিণ্ডে জানান, দিঘের কথাতেই নিজের শোক কাটিয়ে মন দিয়ে রাজনীতি করেন৷ পরবর্তী জীবনে তিনি বিধানসভায় শিবসেনার পরিষদীয় নেতা হন ৷
একনাথ শিণ্ডের তিন সন্তানের মধ্যে দু’জন অনেক কম বয়সে একটি দুর্ঘটনায় মারা যায় ৷ ২০০০ সালে নৌকা উল্টে মারা যায় তাঁর এক ছেলে ও মেয়ে ৷ তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলে থাকেন, সন্তান হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লেগেছিল শিণ্ডের ৷ তাঁর বড় ছেলে বর্তমানে শিবসেনার সাংসদ ৷ এদিন একনাথ শিণ্ডে বলেন, ‘মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য আমার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল ৷ কিন্তু অজিত পাওয়ার বা অন্য কেউ বলেছিলেন, আমাকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত হবে না ৷ তাতে আমার কোনও অসুবিধা ছিল না ৷ উদ্ধবজিকে বলেছিলাম, তুমি এগিয়ে যাও ৷ আমি তোমার পাশে আছি ৷ আমি কখনও মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য লালায়িত ছিলাম না ৷
তবে বিধান পরিষদের নির্বাচনে চরম অপমানিত হওয়ার পরই উদ্ধবের বিরুদ্ধে চলে যান শিণ্ডে ৷ তিনি বলেন, ‘আমি দলের লোকেদের ফোন পেতে শুরু করি ৷ তাঁরা আমার সঙ্গে চলে আসেন৷ উদ্ধব ঠাকরে ফোন করে জানতে চান, আমি কোথায় যাচ্ছি, কবে ফিরব ৷ আমি ঠিকই করে নিয়েছিলাম, স্বার্থত্যাগ করবই তবে কিছু একটা এবার করে ছাড়ব ৷’
Be the first to comment