বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হবে আজ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ফলে রাজ্যের শাসক দল থেকে বিরোধী দল এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। এবারে বিজেপির পাখির চোখ বাংলা। যে কোনও ভাবে রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা কায়েমে মরিয়া বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা আনেকাংশে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বারে আরও বেশি প্রত্যয়ী গেরুয়া শিবির। তার ওপরে নির্বাচনের আগে শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন দুই দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে খানিকটা হলে পদ্মফুল শিবির বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে, মত ওয়াকিবহাল মহলের।
পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের আয়ত্বে আনতে কোনওভাবে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি। তাই ভোটপ্রচারে রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে ৩টি চপার। সেগুলি রাজ্যে ভোটের প্রচারে জন্য ব্যবহার করা হবে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে পৌঁছে যাবে ওই চপার তিনটি। দিল্লি থেকে সেগুলি রাজ্যে আসবে। তার মধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি চপার। বাকি দুটি চপার প্রয়োজন মতো ব্যবহার করবেন রাজ্যের নেতা-নেত্রীরা।
রাজ্যের যা অবস্থান তাতে উত্তর থেকে দক্ষিণে যাওয়া অনেকটাই সময় সাপেক্ষ। সেক্ষেত্রে সেইটুকু সময়ও নষ্ট করতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। তাই দ্রুত এবং অনেক বেশি এলাকায় যাতে প্রচারের কাজ সাড়া যায়েই চপারগুলি পাঠানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, চপারগুলি নিয়ে সারা রাজ্য চষে ফেলবেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। তবে দিলীপ ঘোষের ব্যবহারের জন্যই পাঠানো হচ্ছে একটি চপার। কারণ, দিলীপ ঘোষ যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থাভাজন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
Be the first to comment