মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পথে বিজেপি-সেনা জোট, হরিয়ানায় জোর তৎপরতা

Spread the love

বৃহস্পতিবার সকালে কোনওভাবেই বোঝা যায়নি বিকেল বা রাতের দিকটা ঠিক কেমন হতে চলেছে। মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা দুই রাজ্যেই সকালের দিকে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত আসতে থাকলেও বেলা বাড়তেই চিত্রটা পাল্টাতে থাকে। দু’রাজ্যেই বেশ ভালো টক্কর দেয় কংগ্রেস। ফলে দিনের আলোর মতোই বিকেল বাড়লে ফিকে হতে থাকে বিজেপি।

একদিকে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ও বিজেপি। অন্যদিকে এনসিপি-কংগ্রেস জোট। আর হরিয়ানায় বিজেপি ও কংগ্রেস টক্কর। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা প্রধান উদ্ধভ ঠাকরের সঙ্গে আগে থেকেই শাহ-র কথা হলেও, ছেলে আদিত্যকে ৫০ : ৫০ ফরমূলায় প্রথম ধাপের মুখ্যমন্ত্রী করতে সেনা চাপ দিতে থাকে বিজেপিকে। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-সেনার মোট আসন ১৬১।

ঠিক তখনই হরিয়ানায় বিজেপির জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। পাল্লা দিয়ে জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে কংগ্রেসেরও। একটা সময় এমন দাঁড়ায় যে হরিয়ানাতে ম্যাজিক ফিগার ৪৬টি আসন (হরিয়ানা বিধানসভা ৯০ আসনের) কারা আনবে তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। শেষে ৪০-এ এসে থামে বিজেপি। ৩১-এ কংগ্রেস। ফলে ১০ টি আসন পাওয়া জননায়ক জনতা দলকেই কিংমেকার মনে করে সমস্ত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ভুল হয়নি কংগ্রেস নেতৃত্বেরও। মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রস্তাব করে JJP-কে আগেভাগেই নিজের দিকে টানতে চায় তারা। তবে, JJP-এর চাহিদা ‘মুখ্যমন্ত্রী পদ দিতে হবে’, না মেনে মনোহরলাল খট্টরকেই হরিয়ানায় মুখ্যমন্ত্রী পদে পছন্দ বলে জানায় বিজেপি নেতৃত্ব।খট্টরের ডাক পড়ে দিল্লিতে।

সরকার গঠন করবে কে, কে-ই বা মুখ্যমন্ত্রী হবে তা নিয়ে প্রবল দ্বন্দ্বের মাঝেই বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি ছেড়ে নির্দল হিসেবে ভোটে লড়া পাঁচজনসহ অন্যান্য মোট ৯ জন দিল্লি পাড়ি দেয়। পালটায় সমীকরণ এবং সব হিসেবে জল ঢেলে ৯ জনই বিজেপিকে সমর্থন করবে বলে জানায়। পালটে যায় কিংমেকার। যে চাবিকে হরিয়ানার সরকার গঠনের মূল চাবি হিসেবে ধরা হচ্ছিল, সেই চাবি (JJP-এর প্রতীক)-ই গুরুত্ব হারিয়ে কিংমেকার হয় নির্দল। ক্রমে বোঝা যায় ৪০ ও ৯ মিলিয়ে ৪৯ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপি হরিয়ানায় সরকার গঠনের দাবি জানাতে চলেছে।

এদিকে, ফল প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও মনোহরলাল খট্টরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব কম সরকারই পাঁচ বছর পরে ক্ষমতায় ফেরে। দু’জনকেই অভিনন্দন। এই বক্তব্যের পর দুই রাজ্যের সরকার গঠনের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে যায়।

শুক্রবার সকালে INLD, আকালি দল ও নির্দল বিধায়ক রণধীর গোলান, সোমধীর সংওয়ান, নয়নপাল রওয়াত, বলরাজ কুণ্ডু, ধরমপাল গোঁদার, রণজিৎ সিং, রাকেশ দৌলাতাবাদ, অভয় চৌতালা, গোপাল কাণ্ডারা ফের বৈঠক করেন বিজেপির সঙ্গে। পাড়ি দেন খট্টরও। দিল্লিতে জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকও হয়। হরিয়ানায় বিধায়ক দলের নেতাই বা কে হবেন আর সরকার গঠনের সমীকরণই বা কী হবে- উত্তর জানতে সকলের নজর এখন রাজভবনে । আজ দিল্লি থেকে ফিরে খট্টরের নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়ক দল দেখা করবেন রাজ্যপালের সঙ্গে।

আরব সাগর পারের নাটকও কিছু বাকি। ঠাকরে-ফড়নবিশ সমীকরণ কী দাঁড়ায় তার দিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*