এখনও ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ছে। কলকাতা হাইকোর্টে আজ এমনই জানাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশন জানায় তদন্ত কমিটি গঠনের পর থেকে আরও অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। এমনকী ১৩ জুলাই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেও বহু ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। এদিকে মানবাধিকার কমিশনের তরফে অভিযোগ, অনেক জায়গায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবারই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণ না করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারের অভিযোগগ, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যে দল এসেছিল, তার সদস্যের কেউ কেউ বিজেপি-ঘনিষ্ঠ। তাই কমিশনের রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
যদিও বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কিছু কিছু হিংসার ঘটনার কথা রাজ্য সরকার এই হলফনামায় স্বীকার করেছে। পাশাপাশি সরকার এই দাবিও করেছে যে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ৫ মে-র পর থেকে হিংসাত্মক ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছিল। এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রিপোর্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। পুলিশ কার্যত কিছুই করেনি বলে অভিযোগ করা হয়েছিল রিপোর্টে। কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাধারণ মানুষ নাকি ভয়ে কথা বলতে পারছিলেন না। পুলিশের সম্পর্কে তাঁদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নিযুক্ত কমিটি কলকাতা হাইকোর্টে যে রিপোর্ট পেশ করেছিল সেই রিপোর্টে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে উল্লেখ করেছিল কমিটি। সেই তালিকায় ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শেখ সুফিয়ান, শওকত মোল্লা, জীবন সাহা, শেখ জাহাঙ্গীর খান-সহ আরও একাধিক তৃণমূল নেতার। মানবাধিকার কমিশন নিযুক্ত কমিটির রিপোর্টে তাঁদের কুখ্যাত অপরাধী বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
Be the first to comment