আর তিনদিন পরেই শুরু হচ্ছে নবান্ন দখলের লড়াই। আর তার আগেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক পর্যালোচনায় এল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। আর বাংলায় এসেই জেলা ধরে-ধরে আলোচনা করলেন তাঁরা। সেই সূত্রেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কড়া বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশ মোতাবেক ৫০% বুথে, বিশেষত সকল স্পর্শকাতর বুথে ওয়েব কাস্টিং করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে কমিশনের বার্তা, গণ্ডগোল হলে যদি কোন ফুটেজ না পাওয়া যায়, তাহলে তার দায় নিতে হতে পারে এসপি এবং ডিম’দেরই। তাই এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
তবে, সব জেলারই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ)কে কাজে আরও মনোযোগী হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কিন্ত বর্ধমানে বোমার আঘাতে এক শিশুর মৃত্যু ও এক শিশুর গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনার জেরে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এত বোম কি করে উদ্ধার হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলা হয় কমিশনের বৈঠকে। ভোট গ্রহণের আগে বা ভোট গ্রহণ চলাকালীন যদি এই ধরনের বিস্ফোরণ হয়, তাহলে ভোটদানের হার কমে যাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা।
কমিশন সূত্রে খবর, আহত শিশুটির শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, তা এদিন খোদ জানতে চান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। বর্ধমানের রশিকপুরে বোমায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। তবে, কলকাতার নতুন পুলিশ কমিশনার সোমেন মিত্রর কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন।
তবে সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠকে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার, পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ও বীরভূমের পুলিশ সুপারকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। মূলত, শাসকদলের হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনা হয়েছে এই তিনজনের বিরুদ্ধে।
এমনকী সূত্রের খবর, প্রয়োজনে অপসারিতও হতে পারেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দা। বীরভূমের ইলামবাজারে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন, লাভপুরের ব্যাপক বোমাবাজি, শাসকদলের নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
Be the first to comment