বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ, চিঠি পাঠিয়ে মনে করিয়ে দিল কমিশন

উপনির্বাচনে ফলপ্রকাশের পর বিজয় মিছিল করতে পারবে না কোনও দল ৷ বিধানসভা নির্বাচনের সময়ই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন ৷ সেই নির্দেশই অব্যাহত থাকছে উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও ৷ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি লিখে সে কথাই আবার মনে করিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন ৷

৩০ অক্টোবর ২৯টি বিধানসভা আসন ও তিনটি লোকসভা আসনে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয় ৷ মঙ্গলবার ছিল ভোটগণনা ৷ কোভিড বিধির কথা মাথায় রেখে এই ভোটের ক্ষেত্রেও ফলপ্রকাশের পর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, রাজস্থান, তেলাঙ্গানা, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ-এর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন ৷ কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, এপ্রিল মাসে বিজয় মিছিলের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তা বজায় থাকবে উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও ৷

২৭ এপ্রিলের নির্দেশিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিঠিতে কমিশন লিখেছে, গণনার পর কোনও বিজয় মিছিলে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না ৷ বিজয়ী প্রার্থী যখন রিটার্নিং অফিসারের থেকে উপনির্বাচনে জেতার শংসাপত্র নিতে যাবেন, তখন তাঁর সঙ্গে ২ জনের বেশি থাকলে তাতে অনুমতি দেওয়া হবে না ৷

রাজ্যে খড়দা, গোসাবা, শান্তিপুর ও দিনহাটার উপনির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল দিনহাটায় ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯ ভোটে এবং গোসাবায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫১ ভোটে জয়ী হয়েছে ৷

অপরদিকে, খড়দায় ৯৩ হাজার ৮৩২ ভোটে এবং শান্তিপুরে ৬৩ হাজার ৮৯২ ভোটে জয়লাভ করেছে তৃণমূল ৷ জয়ের পরই কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷