নির্বাচনী প্রচারে কোনোভাবে ব্যবহার করা যাবে না শিশুদের। লোকসভা নির্বাচনের আগে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি), রাজনৈতিক দলগুলিকে কড়া নির্দেশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়ে তারা ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি গ্রহণ করবে বলে সতর্ক করেছে কমিশন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পোস্টার সাঁটা, প্যামফলেট বিতরণ বা স্লোগান দেওয়ার মতো কোনও ধরণের নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যাবে না শিশুদের। কোনও দল হোক বা বিশেষ কোনও প্রার্থী, কোনও উপায়েই শিশুদের ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি, রাজনৈতিক প্রচারের সময় রাজনৈতিক নেতা বা প্রার্থীরা কোনও শিশুকে কোলেও রাখতে পারবেন না। কোনও শিশুকে গাড়িতে রাখা যাবে না বা নির্বাচনী সমাবেশেও নিয়ে যাওয়া যাবে না।
আশা করা হচ্ছে, দিন কয়েকের মধ্য়েই লোকসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তার ঠিক আগে এই নির্দেশিকা পাঠাল কমিশন। তারা জানিয়েছে, কবিতা, গান, বক্তৃতা কিংবা রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর প্রতীক বা থবি প্রদর্শন-সহ কোনও উপায়েই রাজনৈতিক প্রচারে শিশুদের ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এমনকি শিশুরা যাতে কোনও রাজনৈতিক দলের সাফল্যের প্রচার না করে এবং বিরোধী দল বা প্রার্থীর সমালোচনা না করে, সেই দিকেও নজর রাখতে হবে। এছাড়া, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের কঠোরভাবে শিশু শ্রমিক (নিষিদ্ধ ও নিয়ম) আইন, ১৯৮৬ মেনে চলতে বলা হয়েছে। তবে, কোনও শিশুর বাবা-মা বা অন্য কোনও অভিভাবক যদি কোনও রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে যুক্ত না হন, সেই ক্ষেত্রে সেই অভিভাবকে উপস্থিতিতে কোনও রাজনৈতিক নেতার সান্নিধ্যে আসতে পারবে সংশ্লিষ্ট শিশুটি। সেটাকে কমিশনের নির্দেশিকা লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।
ভোট সম্পর্কিত কোনও কাজে নির্বাচন কমিশন বা প্রশাসনও শিশুদের ব্যবহার করতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট সমস্ত আইন এবং শিশুশ্রম সংক্রান্ত আইন যে সঠিকভাবে মানা হচ্ছে, তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমস্ত জেলা নির্বাচনী আধিকারিক ও রিটার্নিং অফিসারদের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, নির্বাচন যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়, তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সময়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে রাজনৈতিক দলগুলিকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment