নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর নির্বাচন কমিশনের। ভোটের ফল প্রকাশ পাওয়ার প্রায় ৪৮ ঘণ্টার মাথায় কমিশনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, নন্দীগ্রামের ভোট ফলাফল পুনর্গণনা হচ্ছে না। তবে এরপরও যদি শাসকদলের এই ফলাফল নিয়ে সমস্যা থাকে, তবে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভোটের পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও নন্দীগ্রাম নিয়ে আলোচনা থামছে না। শুভেন্দু অধিকারীর জয় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারের থেকেও বেশি আলোচনা শুরু হয়েছে ফলাফল ঘোষণার পদ্ধতি নিয়ে। প্রথমে তৃণমূল নেত্রীকে জয়ী ঘোষণা হওয়ার পরও ফলাফল কীভাবে উল্টে গেল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন এই ফলাফলে কারচুপির আশঙ্কায়। সেই পদক্ষেপ কবে করা হবে তা নিয়ে জল্পনা চলার মাঝেই নন্দীগ্রাম নিয়ে বড় বিজ্ঞপ্তি দিল নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা আপাতত কোনওভাবেই সম্ভব নয় কারণ ব্যাখ্যা করে জানানো হয়েছে, রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তই এক্ষেত্রে চূড়ান্ত। সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারার কথা উল্লেখ করে এমনটা করা সম্ভব না বলে জানানো হয়। তবে যদি তৃণমূল কংগ্রেস চায়, তাহলে হাইকোর্টে আবেদন করতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন।
আরও দু’টি বিষয় কমিশনের এ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে উঠে এসেছে। প্রথমত, গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসারের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। কমিশনের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গণনার পর আগামী ৪৫ দিন যেন ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট পর্যাপ্ত সুরক্ষা বলয়ে রাখা হয়।
Be the first to comment