আর করা যাবে না প্রচার। বঙ্গ নির্বাচনের শেষবেলায় সশরীরে প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। বাড়তে থাকা কোভিড সংক্রমণের জেরে অবশেষে এই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ কমিশনের। সপ্তম ও অষ্টম দফা নির্বাচনের আগে আর মিছিল, রোড শো করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। যদিও কিছুটা ছাড় রয়েছে জনসভাতে। পাশাপাশি, এতদিন নির্বাচনী প্রচারে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলগুলিই কোভিড বিধি মেনে চলেননি বলেও ক্ষুব্ধ কমিশন।
কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরই কমিশনের এই কড়া পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, শেষ দু’দফা ভোটের আগে কোনও পদযাত্রা করা যাবে না। একইসঙ্গে কোনও রোড শো বা বাইক-সাইকেল মিছিল করা যাবে না। যদিও শর্তসাপেক্ষে করা যাবে জনসভা। কোনও নির্বাচনী জনসভায় ৫০০ জনের বেশি হাজির করা যাবে না। ইতিমধ্যেই যদিও কোনও পদযাত্রা বা বাইক মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়ে গিয়ে থাকে, এক্ষেত্রে তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
কোভিডকালে জমায়েতের বিরোধিতা করে আজ একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। প্রধান বিচারপতি টিবি এন রাধাকৃষ্ণণের কথায়, করোনা রুখতে এই মুহূর্তে কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত কঠোর হওয়া উচিত ছিল। অথচ তারা সার্কুলার জারি করেই থেমে গিয়েছে। কোনও পদক্ষেপের চিন্তাভাবনাই নেই। এই ভর্ৎসনার পরই কমিশনের এই কড়া সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে, কোভিড বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকাতেও ক্ষুব্ধ কমিশন। প্রচারের ক্ষেত্রে করোনা নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে কমিশন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল একটি নির্দেশিকা জারি করে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সমস্ত রকমের প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।
Be the first to comment