হাতির হামলা যেন একপ্রকার নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছে। দিনে-রাতে তাই সিঁটিয়ে থাকতে হয় গ্রামবাসীদের। রাত জেগে হাতি তাড়ানোর জন্য বসে থাকেন বাসিন্দারা। অভিযোগ, সব দেখেও উদ্বেগহীন বন দফতরের কর্তারা। রবিবার সকালে তাই পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা।
মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রাম যাওয়ার রাজ্য সড়কের উপর গুড়গুড়িপালের তিন নম্বর অঞ্চল এবং মুনি দহের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ সংগঠিত হযে এ দিন পথ অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, বন কর্তাদের কাছে বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও মেলে না হাতি তাড়ানোর প্রয়োজনীয় জ্বালানির যোগান। হাতির উৎপাতে রাতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তাদের দেখা মেলে না। তাই হাতি তাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা।
দু’মাসের বেশি সময় ধরে গুড়গুড়িপাল থানা এলাকার কঙ্কাবতী, মনিদহ, ঝরিয়া, চাপাশোল ও বাঘঘোড়া-সহ একাধিক জায়গায় তাণ্ডব চালাচ্ছিল ৪০-৫০টি হাতির একটা দল। ইতিমধ্যেই দাঁতালের তাণ্ডবে মারা গিয়েছে এক জন গ্রামবাসী এবং এক জন বনকর্মী। প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যা নামলেই এলাকায় নেমে আসে হাতির আতঙ্ক । তার জেরে বাইরে বেরোনো একরকম বন্ধ হয়ে গিয়েছে গ্রামবাসীদের। কিন্তু হাতি গুলিকে এলাকা ছাড়া করা যায়নি । চলতি মরসুমে হাতির হানায় বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এলাকায়। কিন্তু সেভাবে মেলেনি ক্ষতিপূরণও ।
তাই হাতি হানা রোখার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের দাবিও তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ ও বন দফতরের লোকজন । ঘটনায় অবরুদ্ধ মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক । এত কিছুর পরেও বন দফততের সক্রিয়তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।
Be the first to comment