৪০০ কোটি আত্মসাৎ, চার্জশিটে বালুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

Spread the love

রেশনের চাল, আটা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার সেই দুর্নীতি মামলায় জমা পড়ল চার্জশিট। ১৬২ পাতার চার্জশিটে ছত্রে ছত্রে দুর্নীতির কথা আছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। উল্লেখ করা হয়েছে ১০০ কোটির দুর্নীতির কথা। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে ইডি। নাম রয়েছে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। ফলে, মন্ত্রীর ওপর চাপ আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। জ্যোতিপ্রিয়র পাশাপাশি নাম রয়েছে আটাকলের মালিক বাকিবুর রহমানেরও।

রেশন দুর্নীতি মামলায় এফআইআর হয়েছিল অনেক আগেই। তদন্ত চলাকালীন ধরা পড়েন বাকিবুর রহমান। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সামনে আসে। গ্রেফতার হন বালু। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন বাকিবুর রহমানের কাছ থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। জেরায় তিনি ঋণ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলেও ইডি সূত্রের খবর।

জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা দু’কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।বাকিবুরের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা গিয়েছে বালুর কাছে।চার্জশিটে এক আইএএস অফিসারের নাম সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বালু খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই অফিসার খাদ্য দফতরে কর্মরত ছিলেন।রেশনে ১০০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।জ্যোতিপ্রিয়, বাকিবুর সহ ১২ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে।চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ১০টি সংস্থার নাম। এর মধ্যে রয়েছে বাকিবুরের সংস্থা। পাঁচটি সংস্থার নাম আছে, যা বালুর নিয়ন্ত্রণে রয়েছ।চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তও চলছিল রেশনের এই দুর্নীতি।শুধুমাত্র ধান কেনার ক্ষেত্রেই সরকারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাকিবুরের দুটি সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*