তদন্তকারী সংস্থা এবার সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ৷ রবিবার সাতসকালে ভান্দুপে ঠাকরে গোষ্ঠীর শিবসেনা সাংসদের বাড়িতে চড়াও হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির আধিকারিকরা ৷ ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগের দু’বার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল সংস্থাটি ৷ সংসদীয় অধিবেশন চলায় শিবসেনা সাংসদ তাদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নেন ৷ এর আগে ২৭ জুলাই তাকে সমনের নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি ৷ তারপর আজকের তল্লাশি অভিযান।
মুম্বইয়ের গোঁরেগাঁওয়ে একটি তছরূপের মামলার অভিযোগে ঠাকরে-ঘনিষ্ঠ মহারাষ্ট্রের এই তাবড় নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত নেমেছে ইডি ৷ তিনি, তাঁর স্ত্রী এবং পরিচিতরা অর্থ প্রতারণায় যুক্ত ৷ যদিও মহা-নেতা এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি কোনও ভুল করেননি ৷ তবে আজকের ইডি-অভিযান শেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেই জল্পনা চলছে ৷
১ জুলাই ১০ ঘণ্টা ধরে ইডি তদন্ত চালায় ৷ তারপর সঞ্জয় রাউতকে দু’বার সময় দেওয়া হয় ৷ সংসদীয় অধিবেশনের জন্য তিনি ইডির কাছে আরও সময় চান ৷ তাঁর বাড়িতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ৷ শিবসেনা সাংসদ বলেন, এটা প্রতিশোধের রাজনীতি চলছে ৷ কিন্তু তিনি ইডির সঙ্গে তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন ৷ রাউত-ঘনিষ্ঠ গুরু আশিস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার প্রবীণ রাউতকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তিনি, রাকেশ ওয়াধাওয়ান, সরঙ্গ ওয়াধাওয়ান এবং এইচডিআইএল-এর অন্য ডিরেক্টরেরা ‘চাল’ পুনর্নির্মাণের এফএসআই অন্য নির্মাণকারী সংস্থাকে বিক্রি করে দেন ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে ১ হাজার ৭৪ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে ৷
তবে সঞ্জয় রাউতের দাবি, বালাসাহেব ঠাকরের নামে শপথ করে বলছি আমি এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই ৷ আমি মরে যাব, কিন্তু শিবসেনা ছাড়ব না ৷
Be the first to comment