শনিবারের ধুন্ধুমার ম্যাচের জন্য তৈরি রাশিয়ার সামারা। ইংল্যান্ডের সঙ্গে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি সুইডেন। দু দলেরই সমর্থকরা ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে। তবে খেলা দেখার আগে তাঁরা দেখতে ভুলছেন না আরেকটা দ্রষ্টব্যও। শহরের লুকোনো আন্ডারগ্রাউন্ড। তাঁরা লাইন দিয়েছেন যোশেফ স্তালিনের বাঙ্কার দেখার জন্য। নাজি জার্মানির হাত থেকে বাঁচতে তৈরি হয়েছিল মাটির তলার এই বাঙ্কার।
মেক্সিকোর ফুটবল ফ্যান হোসুয়ে রেসেন্দিস জানাচ্ছেন, গায়ে কাঁটা দেয়। কত কী এখানে ঘটেছে। দলে দলে যে যার দেশের জার্সি গায়েই সরু সিঁড়ি বেয়ে নেমে যাচ্ছেন ১২০ ফুট নীচে। ব্রাজিলের থিয়েগো আন্দ্রাদে আবার অতীতকে স্মরণ করেছেন। এখনকার আনন্দের জন্য আগে কত কষ্ট করতে হয়েছে সবাইকে। ১৯৪২ সালে তৈরি হয়েছিল এই বাঙ্কার। ১৯০ পর্যন্ত সামারার বাসিন্দারা জানতেনই না এটির অস্তিত্ব। এখন এটিতে একটি জাদুঘর করা হয়েছে। এমনভাবে মাটির তলার এই বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে, বিমান হানার হাত থেকে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মস্কোর পতন হলে সামারাকে রাশিয়ার দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে ভেবে রাখা হয়। বাঙ্কারে রয়েছে স্তালিনের চেয়ারটেবিল, টেলিফোন। পর্যটকদের সবথেকে পছন্দের এই ঘরটিই।
Be the first to comment