জমি নিয়ে বিবাদ। তার জেরেই প্রতিবেশী দুই মহিলার নামে এসকর্ট সার্ভিসের ওয়েবসাইটে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে দিয়েছিলেন আর এক প্রতিবেশী। ঘটনায় জড়িত মূল পাণ্ডাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা অন্য কোনও শহরের নয়। খোদ কলকাতার। দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা দুই মহিলার সঙ্গেই হয়েছে এই কাণ্ড। তাঁদের নাম দিয়ে এসকর্ট সার্ভিসের ওয়েবসাইটে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে দিয়েছিল নাজিয়া রহমান। জেরায় নাজিয়া জানিয়েছে, জমি নিয়ে বিবাদের জেরেই এ হেন কাজ করেছে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাস দুয়েক আগে ওই দুই মহিলার নামে একটি সেক্স ওয়াবসাইটে ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় মহিলাদের ছবি। জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের ফ্ল্যাটের ঠিকানাও। এমনকী ওই মহিলাদের বয়ানে লেখা হয়, তিনি ওমুক, তাঁর স্বামী বেকার এবং মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে অখুশি।
অভিযোগ, গোপনে বন্ধু পাতানোর নামে ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসকর্ট সার্ভিস চালানো হত। ভুয়ো প্রোফাইল খোলার পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। নিত্যদিন দরজায় কড়া নেড়ে হাজির হতে থাকে ‘কাস্টমার’। বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েও মেলেনি রেহাই। এমনকী বাড়ির বাইরের দেওয়ালে ঘটনার বিবৃতি দিয়ে আঁটা হয়েছিল পোস্টার। কিন্তু তাতেই রেহাই মেলেনি ‘কাস্টমার’-দের উৎপাত থেকে।
অবশেষে এই ঘটনায় যুক্ত মূল চক্রীকে বুধবার গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। এ দিন লালবাজারে অভিযুক্ত নাজিয়া রহমানকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
Be the first to comment